গাজা সংকটে অগ্রগতি, শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্নের পথে
ঢাকাতে শনিবার জমবে গরুর হাট
ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত। প্রস্তুত ঠিকাদাররাও। সব
ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজধানীর পশুর
হাটগুলোর পরিচালনা কমিটিও। হাটগুলোতে গরু
বাঁধতে বসানো হয়েছে বাঁশের খুঁটি।
ডেকোরেশন করা হয়েছে হাটগুলোর
গেট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ
থেকে চলছে নজরদারি। বসানো হচ্ছে ওয়াচ
টাওয়ার।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দুই-একটি হাটে গরু
আসলেও রাজধানীর বেশির ভাগ কোরবানির
হাট ফাঁকা। কারণ, শনিবারের আগে অস্থায়ী
হাটগুলোতে যাতে গরু আসতে না পারে
সেজন্যে রয়েছে পুলিশের নিষধাজ্ঞা। তাই
শনিবারের পর থেকেই হাট জমতে শুরু করবে
বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কোরবানীর পশুর
কারণে যাতে রাজধানীর মানুষের দুর্ভোগ না নয়
সে বিষয়টি চিন্তা করেই পশুবাহি ট্রাক ঢাকা প্রবেশে
সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তিনি
বলেন, মানুষ (ঈদ উপলক্ষে) ঢাকা ছাড়তে শুরু
করেছে। রাজধানীও ফাঁকা হচ্ছে। দুই-এক দিনের
মধ্যে আরও ফাঁকা হবে। ওই সময় পশুবাহি ট্রাক ঢাকায়
প্রবেশ করলেও মানুষের দুর্ভোগ তুলনামূলক কম
হবে।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এবার
যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই করতে দেয়া হবে
না। পশু জবাইয়ের পরপরই যাতে বর্জ্য অপসারণ করা
হয় সে বিষয়ে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন
তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, পশুর হাটগুলোকে
ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা
হচ্ছে।
এবার রাজধানীর একটি স্থায়ী পশুরু হাট ছাড়াও ১৬টি
অস্থায়ী হাটে গরু বিক্রি হবে। গাবতলিতে অবস্থিত
স্থায়ী পশুর হাটে এরই মধ্যে গরু এসেছে।
গাবতলি পশু ব্যবসায়ী সমিতির নেতা মজিবুর রহমান
বলেন, হাটে আসা গুরু এবং মানুষের সুবিধার্থে মূল
হাটের তিন পাশে সামিয়ানি টানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা
হয়েছে। তিনি জানান, জাল টাকা শনাক্ত করতে এখানে
মেশিন বসানো হয়েছে। ব্যবসায়িদের জন্যে রাখা
হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিনি
বলেন, গরু ছাড়াও গাবতলিতে মহিষ, ছাগল, ভেড়ার
আমদানিও হচ্ছে ব্যাপক। এ তালিকায় বাদ থাকছে না উট
ও দুম্বা।
গাবতলি ছাড়াও এবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০টি
ও উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬টি পশুরু হাট বসছে।
হাটগুলোর মধ্যে আছে- রামপুরার আফতাবনগর হাট,
ঝিগাতলা-হাজারীবাগ মাঠ, লালবাগের রহমতগঞ্জ
খেলার মাঠ, খিলগাঁও মেরাদিয়া বাজার, সাদেক
হোসেন খোকা খেলার মাঠ, উত্তর শাহজাহানপুর
রেলগেট বাজার সংলগ্ন মৈত্রী সংঘের মাঠ,
ধুপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ, কমলাপুরের
গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ,
পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা,
লালবাগের মরহুম হাজী দেলোয়ার হোসেন
খেলার মাঠ ও সংলগ্ন এলাকা, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম
চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে বুড়িগঙ্গা বাঁধ
সংলগ্ন জায়গা প্রভৃতি।
আফতাবনগরে গিয়ে দেখা যায়, এই হাটে আসতে
শুরু করেছে কোরবানির পশু। গাবতীতে সয়লাব
নানাজাতের কোরবানি পশুতে। হাটটিতে এখন গরু
রাখারও জায়গা নেই। তবে অন্যান্য হাটে এখনও গরু
শূন্য।
শেয়ার করুন