গাজা সংকটে অগ্রগতি, শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্নের পথে
যেভাবে শিলংয়ে ঈদ কাটালেন সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দীন
দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনদের সাথে
নিয়ে শিলংয়ের ভাড়া বাসায় ঈদুল
আযহা উদযাপন করেছেন বিএনপির
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দীন
আহমেদ। শুভাকাঙ্খিদের সাথে কুশল
বিনিময় এবং ফোনে পরিবারের সদস্য ও
দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে ঈদের
শুভেচ্ছা আদান-প্রদানে ঈদের দিন
অনেকটা ব্যস্ত সময়ই পার করেছেন তিনি।
তবে স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার-পরিজন
দেশে থাকায় ঈদের দিন মন ভালো ছিল
না সালাউদ্দীনের। বিএনপি নেতা
সালাউদ্দীনের সাথে ঈদ উদযাপন করে
শিলং থেকে দেশে ফেরা
কক্সবাজারের এক সাংবাদিক এমন তথ্য
জানিয়েছেন।
ওই সাংবাদিক জানান- ঈদুল আযহার দিন
সকালে ঘুম থেকে ওঠে গোসল সেরে
সাদা নতুন পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরেন
সালাউদ্দীন। এরপর হাতে জায়নামাজ
নিয়ে তার বাসায় অপেক্ষমান কয়েকজন
আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খি নিয়ে
শিলংয়ের লাবাং মদিনা জামে
মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।
ওই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে
আবারও বাসায় ফিরে আসেন তিনি।
বাসায় ফিরে তিনি নেতাকর্মীদের
সাথে কুশল বিনিময় করেন ও নাশতা
সারেন। পরে ফোনে স্ত্রী ও ছেলে-
মেয়েদের সাথে কথা বলেন তিনি।
দেশে বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতার
সাথেও ফোনে কথা বলেন সালাউদ্দীন।
দেশ থেকেও অনেকেও তার কাছে ফোন
করেন।
সালাউদ্দীনের আত্মীয় কলকাতার
বাসিন্দা আইয়ূব আলী জানান- ঈদে দেশ
থেকে সালাউদ্দীনের স্ত্রী ও ছেলে
মেয়ে শিলংয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু
শেষ পর্যন্ত তারা আসতে পারেননি।
ঈদের দিন তার ভাতিজা সম্পর্কিত
সাফওয়ানুল করিমসহ কয়েকজন আত্মীয়-
স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীর সাথে সময়
কাটান সালাউদ্দীন।
আইয়ূব আলী আরও জানান- শিলংয়ে
কোরবানি দেননি সালাউদ্দীন। তবে
তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে
কোরবানি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা
জানিয়ে ঈদের আগের দিন (২৪
সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটে
নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে একটি
স্ট্যাটাস দেন সালাউদ্দীন। ওই শুভেচ্ছা
বার্তায় তিনি লিখেন- ‘সম্মানিত সকল
শুভাকাঙ্খি, ফলোয়ার, বন্ধু-বান্ধব,
আত্মীয়-স্বজন, যারা দেশে অথবা
বিদেশে অবস্থান করছেন, আমার
ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে, পেকুয়া-চকরিয়া-
কক্সবাজার এবং বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে
জানাচ্ছি ঈদ মুবারক।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ ঢাকা থেকে
‘নিখোঁজ’ হন সালাউদ্দিন। ‘নিখোঁজ’র
প্রায় দুইমাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়
রাজ্যেল শিলংয়ের গলফ লিংক রোড
থেকে তাকে আটক করে সেখানকার
পুলিশ। প্রথমে মানসিক রোগী ভেবে
পুলিশ তাকে শিলংয়ের মিমহ্যান্স
মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। তার
পরিচয় জানার পর পরদিন তাকে শিলং
সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০ মে তাকে
শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালে
স্থানান্তর করা হয়। ২৬ মে তাকে
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হলে
২৭ মে আদালতে তোলা হয়। শিলং
আদালতের চিফ জুডিসিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিনকে ১৪ দিন
বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ
দেন। ওই রাতেই তার শারীরিক অবস্থার
অবনতি ঘটলে পরদিন তাকে আবারও
নেগ্রিমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে দায়েরকৃত
মামলায় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩ জুন
আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ৫ জুন
শিলংয়ের নিম্ন আদালতের বিচারক ভি
মৌরি শর্তসাপেক্ষে সালাউদ্দিনের
জামিন মঞ্জুর করেন। ৮ জুন সালাউদ্দিন
হাসপাতাল থেকে ভাড়া বাসায় ওঠেন।
গত ১০ জুন মামলার ধার্য্য তারিখে
আদালত সালাউদ্দিনের জামিন বহাল
রাখেন। গত জুলাই মাসে মামলার
বিচারকার্যও শুরু হয়েছে।
শেয়ার করুন