আপডেট :

        গাজা সংকটে অগ্রগতি, শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্নের পথে

        হঠাৎ বেড়ে গেল প্রবেশ ফি, ট্রেইলার চালানো বন্ধ মালিকদের

        টেস্টের ছোঁয়া, টোয়েন্টির গতি—অদ্ভুত নিয়মে নতুন ফরম্যাট

        জুলাই সনদ স্বাক্ষর থেকে সরে দাঁড়াল গণফোরাম

        প্রতিদিনের খাবারেই লুকিয়ে আছে প্রাণঘাতী বিষ

        যাত্রার আগে এনআইডি বাধ্যতামূলক করছে রেলওয়ে

        পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি না পেলে জুলাই সনদে সইয়ে অস্বীকৃতি এনসিপির

        সমুদ্র বাণিজ্যে নতুন ফি: বন্দরে অতিরিক্ত খরচের ঘোষণা

        বাংলাদেশী শর্ট ফিল্ম 'নিশি'র EMA জয়

        মিরাজের প্রশংসা: বাংলাদেশ দলের খেলায় রয়েছে সম্ভাবনা

        পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ ব্লকেড: ভাতা বৃদ্ধি ও জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা অটল

        গাজায় স্থায়ী শান্তির পথে: ট্রাম্প দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেন

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট

        ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: আহত ৫ জন হাসপাতালে

        প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেডিয়েশন থেরাপি চলছে

        টেনেসিতে বিস্ফোরক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, কেউ বেঁচে নেই

        মিসিসিপিতে ফুটবল খেলার পর গণগুলি: নিহত ৪, আহত ১২

        পুতিনের মন্তব্য: ট্রাম্প বঞ্চিত হওয়ায় নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ

        সমুদ্রের তলায় ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকি

        ইশরাক হোসেনের জীবনের নতুন অধ্যায়: কে তিনি বিয়ে করছেন?

ইতালিয়ান নাগরিক সিজার হত্যার প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা

ইতালিয়ান নাগরিক সিজার হত্যার প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা

ইতালিয়ান নাগরিক সিজার তাভেলা

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দূতাবাসের বিশেষ সতর্কতাজারী

ঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক সিজার তাভেলাকে হত্যার
পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গোয়েন্দা
সংস্থা প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ও তথ্য
সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে তদন্ত ও
বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব জানতে
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
করেছেন। সিজার গত সোমবার ঢাকার
কূটনৈতিক এলাকায় গুলিতে নিহত হন। এ নিয়ে
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
মাত্র ৫ মাস আগে ঢাকায় আসেন তিনি। গত মে
মাসে ঢাকায় এসে বেসরকারি সংস্থা আইসিসিও
কো-অপারেশনের সঙ্গে কাজ শুরু
করেন ৫১ বছর বয়সী সিজার তাবেলা। ই-
মেইলে দেয়া তথ্যে সংস্থাটি বলছে,
তাবেলা আন্তর্জাতিকভাবে একজন অভিজ্ঞ
সাহায্যকর্মী, যিনি বাংলাদেশে তাদের একটি
প্রকল্পের দেখভাল করতেন। এ কারণে
মাঝেমধ্যে তাকে রংপুর ও বরিশাল সফরে
যেতে হতো। ঢাকায় বসবাস করতেন
গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে। এর ব্যবস্থাপক
লাকী আহমেদ সানির কাছে গতকাল বিবিসি
জানতে চায়, তিনি তাবেলাকে কেমন
দেখেছেন? জবাবে তিনি বলেন, এ
বছরের মে মাসে তাবেলা এখানে ওঠেন।
ওনার ফ্ল্যাট নম্বর ফাইভ-বি। যাতায়াতের সময়
তার সঙ্গে আমার যতদূর দেখা-সাক্ষাৎ বা
কথাবার্তা হয়েছে, উনি খুব ভদ্রলোক
ছিলেন। সবার সঙ্গে খুব হাসি-ঠাট্টা করতেন।
উনি সাধারণত, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে
আটটার মধ্যে অফিসের দিকে বের হয়ে
যেতেন। বিকালের দিকে অফিস থেকে
আসতেন। কোনদিন নির্ধারিত সময়ে
আসতেন না। ৫টা, ৬টা, সাড়ে ৬টা, এরকম
সময়ে আসতেন। উনি বাসায় এসে বেশি সময়
থাকতেন না। জগিং-এর ড্রেস পরলে ওনার
সঙ্গে একটা ব্যাগ থাকতো। এটা নিয়ে উনি
বের হয়ে যেতেন। জগিং থেকেও
নির্দিষ্ট কোন সময়ে ফিরতেন না তিনি। এক-
দেড় ঘণ্টাও লাগতো, কোনদিন আধঘণ্টাও
লাগতো। কোনদিন হয়তো জগিং-এর ড্রেস
পরে বাইরে বাজার থেকে খাবার জিনিস কিনে
নিয়ে বাসায় আসতেন। উনি আসলে খুব ঠাণ্ডা,
শান্ত-শিষ্ট লোক ছিলেন।
ঢাকায় তার সঙ্গে পরিবারের কেউ বসবাস
করতেন কি-না কিংবা সহকর্মীদের কেউ তার
বাসায় গিয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে
তার কর্মস্থল আইসিসিও কো-অপারেশনের
সিনিয়র কম্যুনিকেশন্স ও মার্কেটিং ম্যানেজার
রাইসা চৌধুরীর পাঠানো ই-মেইলে কোন
মন্তব্য করা হয়নি। তবে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপক
লাকী আহমেদ সানি বলছেন, তাবেলা
এখানে একাই বসবাস করতেন। এখানে আসার
পর থেকে পরিবারের কাউকে আসতে
আমরা কখনও দেখিনি। ওনার সঙ্গেও এ
পর্যন্ত অন্য কাউকে আমরা আসতে দেখিনি।
কিন্তু তার মধ্যে কোন ধরনের
নিরাপত্তাহীনতা বা উদ্বেগ কি কখনও দেখা
গেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্ল্যাটের
ব্যবস্থাপক বলেন, তার মধ্যে কোন চিন্তা বা
তিনি কোন টেনশন বোধ করছেন,
সেরকম আমাদের চোখে কখনো
পড়েনি।
সিজারকে যখন হত্যা করা হয়, তখন
ঘটনাস্থলেই ছিলেন এক নারী ভিক্ষুক। তিনি
ওখানে দীর্ঘদিন ভিক্ষা করেন। ওই নারী
জানান, আমি আজ ১৭-১৮ বছর ধরে এখানে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বসে আছি।
এমন সময় তিন-চারটা আওয়াজ পেলাম। ফলো
করে ৯০ নম্বর রোডের মাথার দিকে
তাকালাম। দেখলাম ২টা ছেলে দৌড়ে
আসছে। ওখানে একটা মোটরসাইকেল
ভেড়ানো ছিল। মোটরসাইকেলে এক
লোক বসে আছে। তখন ওই লোক
দু’জন লাফ দিয়ে মোটরসাইকেলে
উঠলো, (তখন) ৮৩ নম্বরের সোজা দিয়ে
চলে গেল।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত