যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে “নো কিংস” বিক্ষোভের আগে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন
হোসি কোনিও হত্যার ৯ দিন পর ঘটনাস্থল থেকে গুলি উদ্ধার
ডিসির সাথে জাপানি প্রতিনিধি দলের বৈঠক
রংপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে হোসি কোনিও নিহত
হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের জাপানী
প্রতিনিধি দল গতকাল (রোববার)
স্থানীয় জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠক
করেছেন। সকাল ১১টায় জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে
কি কি আলোচনা হয়েছে তা জানা
যায়নি। তবে জেলা প্রশাসক রাহাত
আনোয়ার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের
জানিয়েছেন, হোসি কোনিও হত্যাকা-ে
র বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারে
সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন
প্রতিনিধি দল। আমরা তাদের সব ধরনের
সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছি।
এদিকে, জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠক
শেষে বেলা ১টার দিকে জাপানী
প্রতিনিধি দল হত্যাকা-ের ঘটনাস্থল
কাউনিয়া উপজেলার আলুটারী গ্রামে
যান। সেখানে গিয়ে তারা ঘটনাস্থলসহ
আশপাশের এলাকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করেন। এ সময় প্রতিনিধি দলের সাথে
ছিলেন তদন্ত টিমের সদস্য পিবিআই-এর
এএসপি আব্দুস সালাম এবং রংপুর
পুলিশের এসএসপি জয়নাল আবেদীনের
নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।ঘটনার ৯
দিনের মাথায় গতকাল (রোববার)
শক্তিশালী মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে
পরীক্ষার এক পর্যায়ে বেলা আড়াইটার
দিকে সেখানকার মাটির নিচ থেকে
একটি বুলেট উদ্ধার করেন প্রতিনিধি দল।
সেখানে পুলিশের এএসপি জয়নাল
আবেদীন সাংবাদিকদের জানান,
বুলেটটি শরীর ভেদ করে মাটির নিচে
গিয়েছিল। আরো অনুসন্ধান চলছে।
এদিকে, হোসি কোনিও হত্যার ঘটনায়
শুক্রবার পাবনা থেকে আটককৃত সুইট এবং
রংপুর মহানগরীর খেড়বাড়ি এলাকা
থেকে আটক জীবনকেও জিজ্ঞাসাবাদ
শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এর আগে
রাজশাহী থেকে আটক ২ ব্যাংক
কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে
ছেড়ে দেয়া হয় এবং রিমান্ডে নেয়া
বিপ্লবের রিমান্ড বাতিল করে আদালতে
পাঠানো হয়। ওদিকে, হোসি কোনিওর
লাশ দাফন কিংবা হস্তান্তরের বিষয়ে
গতকালও কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এ
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার লাশ রংপুর
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে
রাখা ছিল। তবে খুব শিগগিরই তার লাশ
দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য,
গত ৩ অক্টোবর (শনিবার) রংপুর শহরের
অদূরে কাউনিয়া উপজেলার কাচু
আলুটারী গ্রামে নিজ খামারে যাওয়ার
পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন
জাপানী নাগরিক হোসি কোনিও।
শেয়ার করুন