যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে “নো কিংস” বিক্ষোভের আগে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন
মাহবুব উল আলম হানিফের কুশপুতুল পোড়ালো ছাত্রলীগ
জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল
আরেফিন দীপনের বাবা ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের
শিক্ষক আবুল কাশেম ফজলুল হককে
উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করায়
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক
মাহবুব উল আলম হানিফের কুশপুতুল
পুড়িয়েছে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার দুপুরে গণজাগরণ মঞ্চের
আধাবেলার হরতাল শেষে রংপুর
প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে এই
কুশপুতুল পোড়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের
(জাসদ) নেতারা।
এসময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)
রংপুর মহানগর সভাপতি ফারুখ অহাম্মেদ,
অর্থ সম্পাদক কুমারেশ রায়, মহানগর জাসদ
ছাত্রলীগের সভাপতি ওসমান গনিসহ
দলটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি থেকে মাহবুব উল আলম
হানিফকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে দ্রুত
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতাকে
তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির
কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানান
জাসদ নেতারা।
এর আগে সকালে জাসদ ও ছাত্রলীগের
নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাব চত্বরে
গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীর সঙ্গে
হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলে
অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর দুপুরে ঢাকার
লালমাটিয়ায় প্রকাশনা সংস্থা
শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশক
আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে
কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তিন হামলাকারী।
টুটুল ছাড়াও লেখক রণদীপম বসু ও ব্লগার
তারেক রহিম ওই ঘটনায় আহত হন। এর ঘণ্টা
তিনেক পর শাহবাগের আজিজ সুপার
মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি
প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রকাশক ফয়সল
আরেফিন দীপনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া
যায়।
ছেলে খুন হওয়ার পর দীপনের বাবা ও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের
সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক
সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি ছেলে
হত্যার বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির
উদয় হোক। যারা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে
রাজনীতি করছে, আর যারা রাষ্ট্রধর্ম
নিয়ে রাজনীতি করছে উভয়পক্ষই দেশের
সর্বনাশ করছে। উভয়পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয়
হোক। আমার এটুকুই কামনা।’
এরপর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন,
অধ্যাপক ফজলুল হক খুনিদের মতাদর্শে
বিশ্বাস করেন বলেই হয়তো ছেলে হত্যার
বিচার চান না। একজন বাবা হিসাবে
বিষয়টি নিয়ে ভাবতে আমি অবাক হয়েছি।
শেয়ার করুন