মুক্তি পেতে আরও ২৮ মামলায় জামিন লাগবে মামুনুল হকের
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
হেফাজতের সাবেক নেতা এবং খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঠিক কতটি মামলা আছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। আর হেফাজতে ইসলামও তার মুক্তির বিষয়ে ধীরে চলো নীতিতে আছে। পুলিশ বলছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা আছে প্রায় ৫০টি।
কিন্তু খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক হেফাজত নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন জানান মামলা আছে ৪০টি। এরমধ্যে ১২টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তাকে মুক্তি পেতে হলে আরও ২৮ মামলায় জামিন পেতে হবে। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলার বিচার চলছে। আর মামুনুল হকের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেসবাহ জানান, মামুনুল হকের ৩৫টি মামলায় তিনি আইনি সহায়তা দিচ্ছেন। এপর্যন্ত ছয়টি মামলায় চার্জশিট হয়েছে।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে একটি ধর্ষণ মামলা, খুলনায় একটি বিস্ফোরক মামলা এবং ঢাকায় একটি হত্যা মামলায় বিচার চলছে। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনো তিনি কারাগারে আছেন। গ্রেপ্তারের সময় তিনি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব। পরে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হলে তাকে হেফাজতের আর কোনো কমিটিতে রাখা হয়নি। ২০২১ সালে মামুনুল হককে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে ২০১৩ সালের একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে ধর্ষণসহ মোট দুইটি মামলা হয়। তার আগে ঢাকায় তার বিরুদ্ধে মোট ১৭টি মামলা ছিলো। এরমধ্যে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় দায়ের করা ১৫টি মামলায় সে আসামি। ২০২০ সালের মার্চেও ঢাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামুনুল হকের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেসবাহ বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় মামলা আছে। আমি ৩৫টি মামলা দেখছি। আমার জানামতে এ পর্যন্ত ছয়টি মামলার চার্জশিট হয়েছে। তিনটি মামলার বিচার চলছে। তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো ২০১৩ এবং ২০২০-২১ সালের। তিনি অনেক দিন ধরে কারাগারে আছেন। মামলাগুলোর তদন্তও হচ্ছে না, চার্জশিটও হচ্ছে না। শাপলা চত্বরের ঘটনার ১০ বছর হয়ে গেলেও মামলার তদন্ত শেষ করা হচ্ছে না। আমরা আইনগতভাবেই মামলাগুলো মোকাবেলা করতে চাই। কিন্তু তিনি এখন বিনা বিচারে আটক আছেন। তাই বার বার তার জামিনের চেষ্টা করছি।’
এনিয়ে ডিবিসহ পুলিশের কয়েকটি পর্যায়ে যোগাযোগ করেও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘তদন্ত কেন শেষ হচ্ছে না এটা তদন্তকারীরাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের দিক থেকে এটা নিয়ে করার কিছু নেই।’
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার করুন