আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে: যে প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে
আরব সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ অতিপ্রবল শক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উপকূলে আঘাত হানতে পারে বিকালে।বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ভারতের গুজরাটের কুচ, সৌরাষ্ট্র বিভাগে এটি আঘাত হানবে। বাংলাদেশে এর কি প্রভাব পড়তে পারে সে সম্পর্কে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে। এর কোনো প্রভাবই বাংলাদেশের ওপর পড়বে না। এদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ভারতের গুজরাটের কুচ, সৌরাষ্ট্র বিভাগে এটি আঘাত হানবে। এটি পাকিস্তানের করাচিতে সরাসরি আঘাত না আনলেও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বুধবার রাতে করাচি থেকে ঝড়ের দূরত্ব ছিল ৩১০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। গুজরাট উপকূল থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গুজরাটের উপকূলীয় ও নিচু এলাকা থেকে ৭৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অরেঞ্জ এবং ইয়োলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিন্ধুপ্রদেশের মন্ত্রী সার্জিল মেনন বলেন, উপকূলীয় এলাকা থেকে কমপক্ষে ৬৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, ক্যাটাগরি-৩ এর ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে উপকূলে ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে বাতাস বইতে পারে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর গুজরাটের কুচ, দেবভূমি দরগা এবং জামনগরে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের (এনডিআরএফ) ১৮টি টিম ১২টি এসডিআরএফ টিম, ১১৫টি স্টেট রোড অ্যান্ড বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট এবং ৩৯৭টি স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিপার্টমেন্ট টিম উপকূলীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিম রেলওয়ের ৭৬টি ট্রেন যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। গুজরাটে দুটি বিখ্যাত মন্দিরে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন