জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ: পাকিস্তানী কূটনীতিক প্রত্যাহার
জঙ্গি ‘যোগসাজশের’ অভিযোগ ওঠা পাকিস্তান
হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফারিনা
আরশাদকে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করে
নিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে
অনুরোধের পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
বুধবার দুপুরেই তিনি ঢাকা ছেড়েছেন বলে
দূতাবাস সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সন্দেহভাজন কয়েকজন জেএমবি সদস্যকে
জিজ্ঞাসাবাদ এবং ইদ্রিস শেখ নামে একজনের
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে
পাকিস্তানি এক নারী কূটনীতিকের জঙ্গি
যোগসাজশের তথ্য পাওয়ার দাবি করে ডিবি
পুলিশ। পরবতীতে বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার
পাকিস্তানকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করলে এ
ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে সশ্লিষ্ট সূত্র
জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা ও
খিলগাঁও এলাকা থেকে ইদ্রিস শেখসহ ৪ জেএমবি
সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ৩০
নভেম্বর ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডিএমপির
মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার
সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বাংলাদেশের
জেএমবি সদস্য ইদ্রিস শেখের। পাকিস্তানি ওই
গোয়েন্দা কর্মকর্তার একটি স্পাই মোবাইল
ফোনও ব্যবহার করে ইদ্রিস। সেটি উদ্ধার করা হয়।
ওই ফোনে যা কথা হতো রেকর্ড হয়ে ওই
পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছে যেত।
ইদ্রিসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি
হাইকমিশনের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ
যোগাযোগ আছে বলে তিনি জানান।
শেয়ার করুন