বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার অনুমতি
বিশেষ বিবেচনায় আগামী ৫
জানুয়ারি নিজ নিজ দলীয়
কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের
অনুমতি পেয়েছে আওয়ামী লীগ ও
বিএনপি। আজ সোমবার সিটি
করপোরেশন এই অনুমতি দেয়। ফলে
আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর এভিনিউয়ে
ও বিএনপি নয়াপল্টনে তাদের
দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ
করতে পারবে। তবে অনুমতি
দেওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি
করপোরেশনের মেয়র সাইদ খোকন
রাস্তা বন্ধ করে কোনো সভা-
সমাবেশের অনুমতি না চাওয়ার
জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি
আহ্বান জানান।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ার ২৩
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয়
কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ
করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-
উল আলম হানিফ এক সংবাদ
সম্মেলনে বলেন, আমরা গত ৩১
ডিসেম্বর এই সমাবেশের জন্য
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)
কাছে আবেদন করেছি। বিএনপি
আবেদন করেছে ২ জানুয়ারি।
সুতরাং আমরাই অনুমতি আশা
করছি। তারপরও যদি না পাই তবে
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের
সামনেই সমাবেশ করব। ৫
জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’
পালনের ঘোষণা দিয়েছে
আওয়ামী লীগ। সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানসহ রাজধানীর ১৮টি স্পট
এবং সারা দেশে সমাবেশ এবং
আনন্দ শোভাযাত্রা করার কথা
রয়েছে দলটির।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার
অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল
কবির রিজভী আহমেদ এ তথ্য
জানান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে ৫ জানুয়ারি
সমাবেশ করতে ডিএমপির কাছে
অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে এখনো
তাদের পক্ষ থেকে কিছুই আমাদের
জানানো হয়নি। এবার দেখা যাবে
সরকার তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী কী বলে।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে
প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন নিউজ
পোর্টালের তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ
উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে কমিশনার
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন,
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে
জননিরাপত্তা। যদি আমাদের
কাছে অনুভূত হয়, পরস্পরবিরোধী
সমাবেশ একই স্থানে, একই সময়ে
হবে, সেখানে জননিরাপত্তার
স্বার্থে আমরা কোনো ধরনের
সাংঘর্ষিক সমাবেশের অনুমতি
দিতে পারি না। সুস্পষ্টভাবে
বলছি, সাংঘর্ষিক কোনো কর্মসূচি,
যেখানে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত
হতে পারে, জনগণের জানমালের
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে,
যেটা নিকট অতীতে আমরা
অনেকবার দেখেছি। এ ধরনের
কোনো কর্মকাণ্ডের অনুমতি আমরা
দেব না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যেই
করুক তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয়
নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে
প্রধান দুই দলই সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে
আবেদন করে ক্ষমতাসীন দল
আওয়ামী লীগ ও সাবেক বিরোধী
দল বিএনপি। এ নিয়ে
রাজনীতিতে উত্তাপের সৃষ্টি হয়।
গত বছর এই দিনে দেশের প্রধান দুই
রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঘিরে
ব্যাপক সহিংসতা হয় ও বহু
প্রাণহানি ঘটে। এক বছরের মাথায়
শনিবার আবারও দুই দল একই দিনে
সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
শেয়ার করুন