আপডেট :

        বাংলাদেশ ট্যুর গ্রুপ

        রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংলাপ অব্যাহত রাখতে হবে

        চুক্তি চান না বরং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইমরান খান

        চুক্তি চান না বরং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইমরান খান

        এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

        সুন্দরবনের আগুন লাগার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

        সুন্দরবনের আগুন নেভাতে প্রচেষ্টা

        প্রাইজবন্ডে প্রথম পুরস্কার

        পাউবোর ৩৭০ বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন

        সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎহীন

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওপরে ড্রোন, পাহারায় পুলিশ’

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি

বুধবার সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ

বুধবার সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ

বুধবার (১৬ আগস্ট) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের প্রাথমিক খসড়া প্রকাশ করা হবে। সম্প্রতি মাঠপর্যায়ে পাঠানো ইসির এক নির্দেশনা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। খসড়া ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এ ছাড়া মাঠপর্যায় থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে পাঠানো হবে।

সূত্র জানায়, খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা জেলা নির্বাচন কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়েও প্রকাশ করা হবে। কারও কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে উপজেলা, জেলা নির্বাচন কার্যালয় বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়েও আবেদন জমা দেওয়া যাবে। এ জন্য কোনো নির্ধারিত কার্যালয়ে আবেদনের ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।

এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও)।

সম্প্রতি ইসি সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের যে নীতিমালা করেছে সেখানে জেলাপর্যায়ে ডিসিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। আর জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ। এই কমিটিতে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা অনুযায়ী, যাতায়াতের সুবিধা, ভবনের আয়ুষ্কাল, ভোটার বৃদ্ধি, সরকারি ভবনকে প্রাধান্য দেওয়া, প্রভাব রয়েছে বা উন্মুক্ত নয় এমন স্থানে ভোটকেন্দ্র না করা, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র না করা, শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন প্রভৃতি বিষয় আমলে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হলে যে কোনো ভোটার দাবি-আপত্তি জানাতে পারবেন।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বুধবার জেলা, উপজেলা পর্যায়ে ভোটকেন্দ্রের প্রাথমিক খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। এতে দাবি-আপত্তি থাকলে তা শুনানি করে খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সেই চূড়ান্ত খসড়া তালিকা মাঠপর্যায় থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। নির্বাচন কমিশন তা দেখে অনুমোদন দিলেই সেটি ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেশে মোট ভোটার ছিলেন ১০ কোটি ৪২ লাখ। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হয়।

তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১ কোটি ৯১ লাখেরও বেশি ভোটারের বিপরীতে ৪২ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র লাগবে বলে ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন।

এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে ইসি।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত