দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
বিএনপি রাজনৈতিক পরিবেশকে বিনষ্ট করছে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি চিরাচরিতভাবে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। জনগণের যে আশঙ্কা ছিল, সেটাই আজ সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। রাজনৈতিক পরিবেশকে তারা বিনষ্ট করছে। তারেক রহমান বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত করছে। এটাই বিএনপির টেক ব্যাক বাংলাদেশের স্বরূপ। ২০১৩-১৪ এর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেন।
আজ রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ভণ্ডুল করতে আবারও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে আসলে সন্ত্রাসী রাজনীতির ধারা বাস্তবায়নে গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, রাজনীতির পুরনো চেহারা ফিরিয়ে আনার জন্য পথ বেছে নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বিচার ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করেছে। মার্কিন ক্যাপিটাল হিল দখলের আগ্রাসী সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা যায়। সব অপকর্মের নির্লজ্জ প্রদর্শন মানুষ দেখেছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান কাদের।
তিনি বলেন, পুলিশকে হত্যা ঠান্ডা মাথার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাসের পথ পরিহার গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসতে বরাবরের মতো আবারও আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, আজ ২৯ অক্টোবর-আওয়ামী লীগতো আছে, বিএনপি কোথায়- আন্দোলনে না ষড়যন্ত্রে? বিএনপির ভয়ঙ্কর চরিত্রের স্বরূপ দেশ-বিদেশের সবার কাছে উন্মোচিত হয়েছে। শত উস্কানির পরও আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে। হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হতাহতের চিত্র তুলে ধরেন।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ও নির্দেশ নেতাদের বিচারের দাবি জানান। নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক পাহারায় থাকার আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডে থাকবে। আওয়ামী লীগ কারও সাথে সংঘাতে যাবে না? গায়ে পড়ে সংঘাত কেন করবো? আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। আমরা কোন উস্কানি দিবো না। সহিংসতা পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসার আহ্বান। দেশের মানুষের জন্য দরকার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। ক্ষমতার পরিবর্তনে নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। নির্বাচন প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, আলোচনার পথ বিএনপি রুদ্ধ করে দিয়েছে। এখন আর তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোন সুযোগ নেই। আগে সহিংসতার পথ পরিহার করুক বিএনপি।
জামায়াতের সঙ্গে কোন আঁতাত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঘা বাঘা যুদ্ধাপরাধীদের সাজার পরও জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হয়েছে কি না সেই প্রশ্ন তোলা ঠিক না।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা, ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, রেমড আরেং, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সানজিদা খানম, মারুফা আক্তার পপি, নির্মল চ্যাটার্জি , ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে ইসহাক আলী পান্না, মাফজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সাইফুর রহমান সোহাগ, রেজওয়ানুল হক শোভন, লেখক ভট্টাচার্য, যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি নাজমা আক্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন