আদালতে এসেছি ন্যায় বিচার চাইতে: ড. ইউনূস
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কাজ করতে গেলে ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে। ভুল-ভ্রান্তি এক জিনিস, অপরাধ আরেক জিনিস। দুটি আলাদা বিষয়। এখন আদালতে এসেছি ন্যায় বিচার চাইতে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার যা বলার তা লিখিতভাবে বলেছি, যাতে সবাই জানতে পারে। আমি যেটা আপনাদের কাছে পরিষ্কার করতে চাই, আমি যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছি, কোনোটা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নেইনি। এটা গ্রামীণ ব্যাংক হোক বা অন্য প্রতিষ্ঠান হোক।’
এসময় তিনি সবার কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যেখানে উদ্দেশ্য লাভবান হওয়ার বিষয় না, সেখানে অন্যের থেকে ভাগ নিয়ে কাকে দেবো? কোথায় যাবে সেটা? এই জিনিসটা পরীক্ষা করে দেখেন—উনি যদি শ্রমিককে কষ্ট দিয়ে থাকে, কী জন্য কষ্টটা দিলো? উনি কি লাভবান হওয়ার জন্য, না অন্য কাউকে লাভবান করার জন্য—নাকি আমার আত্মীয়-স্বজনকে লাভবান করার জন্য?’
এমন কিছু কি ঘটেছে যেটা অসাবধানতাবশত হয়েছে—গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘মানুষ ভুল করতেই পারে। মানুষ তো আর ফেরেশতা না! সেটা আমি স্বীকার করি। সেটা ধরিয়ে দেন। আমরা ভুল করি, আবার শুধরে নেই। ভুল-ভ্রান্তি এক জিনিস, অপরাধ আরেক জিনিস।’
আদালতের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানুষ আদালতের কাছে কী জন্য আসে? ন্যায় বিচারের জন্য আসে। আমিও ন্যায় বিচার চাই।’
প্রসঙ্গত, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন জন আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার এজলাসে এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাকি তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিচারকের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, সব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপূর্ণ। তাই অভিযোগ অস্বীকার করে বাদীর করা মামলা ক্ষতিপূরণসহ খারিজ করার জন্যও আদালতে আবেদন করেন তিনি।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন