আপডেট :

        চীনের আধিপত্য রুখতে বিরল খনিজ সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র–অস্ট্রেলিয়া ঐতিহাসিক চুক্তি

        চোখে মাইক্রোচিপ বসিয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

        প্রথম ম্যাচে জয়ের পরও ফাঁকা মিরপুরের গ্যালারি

        ১০ মাসেও জুটেনি নতুন বই, বিপাকে ৫৪ শিক্ষার্থী

        পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি টিকবে?

        বাংলাদেশের আকাশে উল্কাপাত দেখা যাবে মঙ্গলবার রাতে

        দেব-রুক্মিণীর ‘বিচ্ছেদ’ নিয়ে ফের গুঞ্জন

        পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন ‘ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র চলছে’

        সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন বিএনপি মহাসচিব

        আইএমএফের কঠোর শর্ত: নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ নয়

        সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

        রোনালদোর স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক ধাপ এগোলেন তার ছেলে

        ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে টিউশন ফি

        বর্ষা নিজেই গলায় কোপ দেয় জুবায়েদকে

        চীনকে ট্রাম্পের কঠোর হুঁশিয়ারি: চুক্তি না হলে ১৫৫% শুল্কের হুমকি!

        অভিনেতা আসরানি ৮৪ বছর বয়সে মারা গেলেন, দীর্ঘদিনের অসুস্থতায় মৃত্যু

        সিরিজ হারার পর হোয়াইটওয়াশ: বাংলাদেশী ফ্যানদের চোখে অশ্রু, লাহোরে হতাশার রাত্রি

        তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু হয়েছে

        "অস্ত্রের দৌড়ে বিশ্বের টাকা, শান্তি বিপন্ন"

        লস এঞ্জেলেসে ‘নো কিংস ডে’র প্রতিবাদে ১৪ জন গ্রেপ্তার

বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার শিগগিরই শতভাগ হবে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার শিগগিরই শতভাগ হবে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার শিগগিরই শতভাগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য সবাইকে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করা। কেউ নিরক্ষর থাকবে না। আমরা ৯৬-তে যখন সরকার গঠন করি তখন সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ নেই। ঐ সময় সাক্ষরতার হার ৪৫ ভাগ থেকে ৬৫.৫ ভাগে উন্নীত করি।


তিনি বলেন, এরপর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা দেখি বিএনপি-জামায়াত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বদৌলতে সাক্ষরতার হার কমে গেছে। এখন সাক্ষরতার হার ৭১ ভাগে উন্নীত হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই এই হার শতভাগ হবে।

 
তিনি বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। শিক্ষা জাতির অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতে আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।


 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি শিশু যেন স্কুলে যেতে পারে সেজন্য আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। শিশুদের মেধা বিকাশে আমরা পঞ্চম শ্রেণিতে সার্টিফিকেট পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। তাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দিচ্ছি।

 

তিনি বলেন, মাধ্যমিক পর্যন্ত আমরা কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি। ধীরে ধীরে এটি প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা বাধ্যতামূলক করব।

 
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের মধ্যে মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত হওয়ার মতো বিভ্রান্তি যেন কেউ ছড়াতে না পারে, সে জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কার্যক্রম থাকা দরকার।


তিনি আরো বলেন, ছেলেমেয়েরা যেন অন্য কোনো দিকে বা বিভ্রান্তির পথে না যায়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যেন কেউ জড়িত না হয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মে কখনো বলেনি, সুইসাইড করো। যে সুইসাইড করবে, সে দোজখে যাবে। অথচ সেই ইসলাম ধর্মের নামে যদি কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদী, জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চলে, এটা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।


‘কাজেই আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন এসব থেকে দূরে থাকে। তাদের যেন কেউ বিভ্রান্ত করতে না পারে। কাজেই প্রতিটি স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা সব জায়গায় এই শিক্ষাটা দেওয়া উচিত’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।


বিদ্যালয়গুলো থেকে সঠিক শিক্ষা নিয়ে শিশুরা আগামী দিনে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।


বক্তব্যে বিভিন্ন স্কুলের শিশুদের টিফিন এবং মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।


এ ছাড়া আজকের অনুষ্ঠান থেকে গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা।


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব হুমায়ুন খালিদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর।


শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত