চীনের আধিপত্য রুখতে বিরল খনিজ সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র–অস্ট্রেলিয়া ঐতিহাসিক চুক্তি
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চাইলেন বিচারপতি মানিক
প্রধান বিচারপতি বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন অভিযোগ করে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
বিচারপতি মানিক বলেন, ‘এর আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বিচারপতিরা অবসরের পর রায় লিখতে পারে না। সেই একই কথার প্রতিধ্বনি করছেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি খালেদার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন’।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে সুপ্রিমকোর্টের মাজারগেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই পদত্যাগের কথা বলেন।
সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সংবাদ সম্মেলন নিষিদ্ধ করার কারণে তিনি এখানে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিচারপতি মানিক বলেন, প্রধান বিচারপতি নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। তাই বিচারঙ্গণ ও দেশের ভার্বমূর্তি রক্ষায় প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ করা উচিত।
এসময় তিনি তার কাছে থাকা অনিষ্পত্তিকৃত সকল মামলার নথি ফেরতের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির আদেশের ব্যাপারে বলেন, প্রধান বিচারপতির নথি ফেরত চেয়ে দেয়া আদেশ ‘অবৈধ’। তিনি তার কাছে থাকা মামলার নথি ফেরত দেবেন না।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা তার হাতে লেখা রায় ও আদেশগুলো গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছেন। এ জন্য তিনি বেঞ্চের আরেক বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর কাছে তার লেখা রায় ও আপিলগুলো জমা দিতে যাচ্ছেন। তবে কিছুতেই তিনি মামলার নথি ফেরত দেবেন না।
বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে গণমাধ্যমে কথা না বলে তার কাছে থাকা মামলার নথিগুলো দ্রুত ফেরত দিতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
রবিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি যেসব রায় ও আদেশ লেখা শেষ করেছেন, সেগুলো জমা দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি সেগুলো গ্রহণের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এর কয়েক ঘণ্টা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাকে সব ফাইল ফেরত দিতে বলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিচার চলাকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলন করাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করা হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি আশা করেন, বর্তমান ও ভবিষ্যতে বিচারপতিরা কোর্টের পবিত্রতা ও মর্যাদা বজায় রাখতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন।’
গত সেপ্টেম্বরে অবসরে যাওয়ার আগে পেনশন আটকে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী একাধিকবার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন। আর অবসরে যাওয়ার পরপরই তিনি প্রধান বিচারপতির অভিশংসন চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন।
শেয়ার করুন