আপডেট :

        সমুদ্র বাণিজ্যে নতুন ফি: বন্দরে অতিরিক্ত খরচের ঘোষণা

        বাংলাদেশী শর্ট ফিল্ম 'নিশি'র EMA জয়

        মিরাজের প্রশংসা: বাংলাদেশ দলের খেলায় রয়েছে সম্ভাবনা

        পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ ব্লকেড: ভাতা বৃদ্ধি ও জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা অটল

        গাজায় স্থায়ী শান্তির পথে: ট্রাম্প দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেন

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট

        ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: আহত ৫ জন হাসপাতালে

        প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেডিয়েশন থেরাপি চলছে

        টেনেসিতে বিস্ফোরক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, কেউ বেঁচে নেই

        মিসিসিপিতে ফুটবল খেলার পর গণগুলি: নিহত ৪, আহত ১২

        পুতিনের মন্তব্য: ট্রাম্প বঞ্চিত হওয়ায় নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ

        সমুদ্রের তলায় ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকি

        ইশরাক হোসেনের জীবনের নতুন অধ্যায়: কে তিনি বিয়ে করছেন?

        জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য রাখতে হবে ১ হাজার টাকার মধ্যে

        চুয়েটের ‘টিম এসরো’ নাসার গ্লোবাল স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিশ্বজয়ী

        নির্বাচনের ফেব্রুয়ারি তাং নিয়ে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস: মন্তব্য

        সিরিজে রশিদের স্পিনে বাঙালিরা হেরেছে

        আসল নকল মিলছে? আপনার ফোন নকল কিনা জানতে এই উপায়গুলো অনুসরণ করুন

        হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ১ থেকে ৩৮

        দারুল উলুম দেওবন্দ পরিদর্শনে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উষ্ণ অভ্যর্থনা

কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ২২ শতাংশ

কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ২২ শতাংশ

বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ব্যাংকগুলোর কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ব্যাংকাররা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটের কারণে এমনটা হয়েছে।

 

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংকগুলো কৃষকদের ঋণ বিতরণ করেছে ৩ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এটি ছিল ৩ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা।

তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বরে) ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ করেছে ১৮ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৯ শতাংশ বেশি।

ব্যাংকাররা বলছেন, জানুয়ারির শুরুতে দেশের জাতীয় নির্বাচন থাকায় গ্রাহকরা এই সময়ে নির্বাচনমুখী ছিলেন। কৃষকরাও নতুন ঋণ নিতে অনাগ্রহী ছিলেন।

তারা আরও জানান, ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটও একটি অন্যতম কারণ। যদিও জানুয়ারিতে কৃষিঋণ বাড়বে বলে আশা করেছেন তারা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোর জন্য চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যদিও চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি তথা ৫২.৩৬ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বরে কৃষকদের মধ্যে যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, তার চেয়ে কৃষকরা বেশি ঋণ পরিশোধ করেছেন।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই সময়ে কৃষিঋণ থেকে ব্যাংকগুলো ১৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা আদায় করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ টাকার পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় আদায় ঋণ পরিশোধের হার বেড়েছে ৮.২১ শতাংশ।

রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, কিছু কিছু ব্যাংক আছে যারা কৃষিঋণ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিতরণ করতে পারে না। আবার কিছু কিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে। তাই যারা কৃষিঋণ বিতরণ করতে পারবে না, তারা সমর্থ ব্যাংকগুলোকে তাদের ফান্ড ট্রান্সফার করে দেবে—এ রকম একটি নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ফলে কৃষিঋণ দ্রুত বাড়ছে। গত বছরের মতো এ বছরও সহজেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।

গত বছরের ডিসেম্বর শেষে কৃষি খাতে বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ৫০ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে, যা পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫৪.৬০ শতাংশ।

অন্যদিকে বেসরকারি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে, যা তাদের পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫২.৩৬ শতাংশ। এছাড়া চলতি অর্থবছরের এই সমেয় ১১টি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ কম ঋণ বিতরণ করেছে।

 এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

 

 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত