শিগগির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: প্রধানমন্ত্রী
সরকার ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সরকারি উদ্যোগের প্রভাবে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছি। সামষ্টিক অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এশিয়া-প্রাশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সব তথ্য জানান। বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হকের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ও যুদ্ধকেন্দ্রিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকট অনুভূত হচ্ছে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে মুল্যস্ফীতি, ভর্তুকি ব্যয়, লেনদেনের ভারসাম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং মুদ্রাবিনিময় হারের ওপর। তবে মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের বাজার, গার্মেন্টেসের রফতানি, ব্যাংকের তারল্য, পণ্যের আমদানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা, বৈদিশক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, টাকাপাচার রোধ, গ্যাস সরবরাহ, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মুল্য বৃদ্ধি নিয়ে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রীর তাঁর জবাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্য- প্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে ১০টি দেশের সঙ্গে আইনগত সহায়তা চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিগুলোতে ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় এবং খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকারি উদ্যোগের প্রভাবে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং এর ফলে চলমান সাময়িক সংকট কেটে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন