দেশ মজবুত অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে : রাষ্ট্রপতি
সীমান্ত চুক্তি ও সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এক উন্নত উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দেশ এখন মজবুত অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে। পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প এ সরকার বাস্তবায়ন করছে। উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
সোমবার দুপুরে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন।
কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। যাতে তোমরা বড় হয়ে অপরাপর দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পার। শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদ্যাসাগরে পরিণত করতে হবে। আদর্শ দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অর্জিত শিক্ষাকে মানবকল্যাণের কাজে লাগাতে হবে।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। দেশে কলকারখানা, ক্ষেতে খামারে উৎপাদন বেড়েছে। অন্ধবিশ্বাস ও মৌলবাদ যেন নিজেকে আকৃষ্ট না করতে পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আরও বলেন, এখন মানুষের কাছাকাছি থাকারও সুযোগ নেই। আমি বঙ্গভবনের চার দেয়ালে বন্দি অবস্থায় আছি।
গানের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, অন্যদের দূরে মানুষ কাছে রয়, আর আমার কাছের মানুষগুলিই দূরে রয়।
কবিতার ছন্দে তিনি বলেন, হাওর জঙ্গল মহিষের সিং, এই নিয়ে ময়মনসিংহ। আমি বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে আমার ৩ ছেলে ও এক মেয়ে। আমার একমাত্র মেয়েকে জামালপুরে বিয়ে দিয়েছি। কাজেই জামালপুরের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক বিরাজমান।
শিক্ষা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনাদের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। শিক্ষাকে মানবকল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ভালোগুলো গ্রহণ করে খারাপগুলো পরিহার করতে হবে। আকাশ সংস্কৃতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, আকাশ সংস্কৃতি এখন বাস্তবতা। এটা মেনে নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
স্থানীয় কিছু দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি সরকারের প্রধান নই। আমি দেশের প্রধান। কারও কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে সরকারপ্রধানের কাছে করতে হয়। তবে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আশেক মাহামুদ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমান বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, জামালপুর পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মণি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসেন, জামালপুর সদর-৫ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম হীরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
শেয়ার করুন