ঢাকা কারাগারে হাজতির মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা আবদুল আলীম রানা (৩২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে অসুস্থতার কারণে রানার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় কারাকর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনের কারণে রানার মৃত্যু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী আবু হানিফ জানান, দুপুর ১২টার দিকে রানা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১টার দিকে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রানার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর শিবচরের চর বাঁচামরা গ্রামে। তিনি মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ি এলাকায় থাকতেন। তিনি ঠিকাদারির ব্যবসা করতেন।
রানার বাবা ইসমাইল আকন সাংবাদিকদের জানান, ১৯ তারিখ রাতে মোজাম্মেল নামে এক বন্ধু রানাকে ফোন করে জানান তাকে সন্ত্রাসীরা জেনেভা ক্যাম্পে আটক রেখেছে। রানা গেলে তাকে মুক্ত করা হবে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে ২৫ গ্রুপ নামে একটি দল রানাকে মারধর করে কোমরে পিস্তল দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে রাখে। পরে তারাই পুলিশে খবর দেয়।
তিনি জানান, ২০ তারিখ সকালে পুলিশ রানাকে পিস্তলসহ আটক করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে। পরে এক দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে তা মঞ্জুর হয়। কিন্তু রানা অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে রিমান্ডে না নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর থেকে বাবা-মার সঙ্গে রানার দেখা করতে দেওয়া হতো না বলে জানান বাবা ইসমাইল আকন।
শনিবার সকালে গেলেও তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দেখা করতে না পেরে তিনি বাইরে বসে ছিলেন তখন দেখেন তার ছেলেকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হচ্ছে- জানান বাবা ইসমাইল আকন। পুলিশের নির্যাতনের কারণে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাবা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রানাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর।
রানাকে ‘ছিনতাইকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনের জন্য তিনি জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় মটরসাইকেলে করে ঘোরাঘুরি করছিল।
তিনি বলেন, ‘এসময় ক্যাম্পের লোকজন তাকে মারধরের পর পুলিশকে খবর দিলে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। মোহাম্মদপুর থানার একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।’
শেয়ার করুন