মাইনাস টু ফর্মুলায় জড়িত ছিলেন আ.লীগের দু’নেতা : শাহ মোয়াজ্জেম
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, মাইনাস টু ফর্মুলার সাথে ক্ষমতাসীনদের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা জড়িত ছিলেন। সেই দুই নেতাকে কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না?
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অল কমিউনিটি ফোরাম আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
২০০৭ সালে সেনাবাহিনী পরোক্ষভাবে ক্ষমতা দখলের পর শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা চালায়, যা মাইনাস টু ফর্মুলা নামে পরিচিতি পায়। সে সময় দুটি দলের কয়েক নেতা এতে মদত জোগায়।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বতর্মানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সেই মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সমালোচকরা বলেন, সেই কারণেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলেও ক্ষমতাধর এই দুই নেতাকে মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়নি। পরে অবশ্য তারা মন্ত্রীত্ব পান।
শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ‘মাইনাস টু ফর্মুলা যারা সৃষ্টি করেছে তাদের বাদ দিয়ে কেনো সম্পাদকদের জড়িত করা হচ্ছে। মাইনাস টু ফর্মুলার সাথে ক্ষমতাসীদের দুই শীর্ষ নেতা জড়িত। সেই দুই নেতাকে কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না?’
তিনি বলেন, যার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত সেই সাংবাদিক মাহফুজ আনামের প্রতি অসম্মান দেখানো হচ্ছে।
‘বিডিআর বিদ্রোহ ও সীমান্ত নিরাপত্তা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েও একরাশ প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাচ্ছে? জাতীয় নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের কি শিক্ষা হয়নি? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন কি, সেটা কি আমরা বুঝিনি?’
শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে না গিয়ে পরবর্তীতে এই অবৈধ সরকারকে মেনে নেয়া বিএনপির বড় একটা ব্যর্থতা। আবার সেই সরকারের অধীনেই সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গিয়ে বিএনপি আরো একটি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’
শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, শেখ হাসিনা দেশ শাসন করার পরিবর্তে দেশের জনগণের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। এই নির্যাতন ইয়াহিয়া খান ও আয়ুব খানের শাসনকেও হার মানিয়েছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশের জোরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে আছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, যে মামলা করেছে তার বাবা মায়ের নাম নেই। অথচ মামলা করার সাথে সাথে গোপালগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট তা গ্রহণ করেছে। এটা লজ্জার বিষয়।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. কাবিরুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সহ- তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
শেয়ার করুন