এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার র্যাম্প চালু
চালু হলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার র্যাম্প
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজারের পথ (র্যাম্প) খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ চালু করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বিকেলের পর থেকে এ পথ ব্যবহার করে এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল করতে পারবে। এই নিয়ে মোট ১৬টি র্যাম্প চালু হলো।
উদ্বোধনের আগে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল। আজ কারওয়ান বাজার র্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেশবাসীর জন্য ঈদ উপহার।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প এই বছরের মধ্যে শেষ হবে না।
শপিংমলে যায়। যানজট একটু থাকবেই। তবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত তো যানজট হচ্ছে না। মানুষ কম সময়ে যাচ্ছে। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আছে।
আপনার মন্ত্রীত্বের ১২ বছরে লক্করঝক্কর বাস বন্ধ হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী আমি তো বাস ঠিক করব না। এই বাস বন্ধ করলে আপনারা (সাংবাদিক) আগে রাস্তায় নামবেন। বলবেন জনগণকে কষ্ট দেয়। ১২ বছরে তো আমরা কম কাজ করিনি। পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রো রেল হয়েছে। ১২ বছরের কথা এনে অপবাদ কেন দিচ্ছেন। এই মন্ত্রণালয়ের আওতায় কত কাজ হয়েছে। সব হবে একটু সময় দেন।
উল্লেখ্য, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের মূল পথের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। আর র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি ওঠানামা (র্যাম্প) পথ রয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয় বর্তমান সরকারের এই মেগা প্রকল্পের আংশিক ভাগ। আর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে যান চলাচল শুরু হয়। বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১.৫ কিলোমিটার খুলে দেওয়া হয়। এই অংশে ১৫টি র্যাম্প হয়েছে।
প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয় ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকিটা দেবে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন ১৫ শতাংশ।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন