অ্যাটর্নি জেনারেলও ‘বিএনপির সুরে’ কথা বলছেন : কামরুল
জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলী ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির পর অ্যাটর্নি জেনারেলও ‘বিএনপির সুরে’ কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘বিএনপির ভাষা এবং আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের ভাষা একই, তিনি আর রিজভী একই সুরে কথা বলতেছেন।’
এর আগে শনিবার এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিএনপি-জামায়াতের সুরে কথা বলছেন। সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেমের আপিলের পুনঃশুনানির দাবি করে মন্ত্রী কামরুল।
খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রবিবার রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলেন ওই বক্তব্য অসাংবিধানিক।
রবিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য আসার পর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচারপতিরা প্রকাশ্য আদালতে বলেন, প্রসিকিউটরা রাজনীতি করছেন। তখন ১৬ কোটি মানুষের একজন হিসেবে, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি কি রিঅ্যাকশন দিতে পারব না?’
‘আমি তো প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কথা বলছি না। …রায় ঘোষণার আগে আমাকে যেভাবে সংক্ষুব্ধ করেছেন… রিঅ্যাকশন দেওয়ার স্বাধীনতা কি আমার নেই? এখানে সংবিধানকে লংঘন করা, আদালত অবমাননা করা- এসব কথা বলার তো কোনো অর্থই হয় না,’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
শনিবার সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াত যে অভিযোগ করেছে, বিএনপি যে অভিযোগ করেছে, তাদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট গ্রুপ যে সুরে কথা বলছে, একই সুরে কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি।’
‘প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন তিনি। এই মামলার রায় কী হবে, তা প্রধান বিচারপতির প্রকাশ্যে আদালতে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা অনুধাবন করতে পেরেছি।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সময় আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা কামরুল নিজেকে একটা পক্ষ দাবি করে আজ বলেন, ‘আমি কিন্তু আদালত অবমাননাকর কোনো কথা বলিনি, সংবিধান লংঘন করিনি।’
‘আমি বলিনি যে আদালত বায়াসড হয়ে এ কথাগুলো বলেছে। আমরা সবাই রায়ের আগের মন্তব্যগুলোতে উদ্বিগ্ন হয়েছি যে কী হতে যাচ্ছে?’
মন্ত্রীর পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য করা যায় কি না- এ প্রশ্নে কামরুল বলেন, ‘আরে, আমি তো মানুষ। মন্ত্রী কি আকাশের জীব? না-কি অন্য গ্রহের জীব? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি এই মামলার বাদী, ১৬ কোটি মানুষই এই মামলার বাদী।’
‘যখন দেখি প্রকাশ্য আদালতে প্রসিকিউটরদের একেবারে ধুয়ে ফেলেছে এবং আদালত এক পর্যায়ে এমন কথাও বলেছে প্রসিকিউটরা মামলার নামে রাজনীতি করছে। তার মানে রাষ্ট্র বা সরকার রাজনীতি করছে তা বোঝা যাচ্ছে। তখন কি আমি সংক্ষুব্ধ হব না? উদ্বিগ্ন হব না? আমার কোনো রিঅ্যাকশন থাকবে না?’
শেয়ার করুন