আপডেট :

        চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট শুরু

        চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত

        দেশের সাত জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে

        আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে

        বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু রহস্য

        বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু রহস্য

        মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি হয়েছে ভারতের মুম্বাই শহরে

        ইরানের চাবাহার বন্দরে পরিচালনার জন্য ১০ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত

        ভারতের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে আলোচিত হিন্দ-মুসলিম সম্পর্ক

        যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ থেকে ৫০ অধ্যাপক আটক

        যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

        ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, মেরুজ্যোতির দেখা

        আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর মাঠে গড়াবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের

        অবশেষে সোনারগাঁয়ে ধরা পরল ইয়াবা

        নিউ ইয়র্ক আদালতে উত্তেজনাপূর্ণ দিন, সাক্ষ্য দিচ্ছেন ট্রাম্পের ‘শত্রু’

        অবশেষে দেশের মাটিতে নোঙর করেছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

        রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প

        খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ বেশি কষ্টে

        জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার কাউকে ভয় পায় নাঃ ওবায়দুল কাদের

        জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার কাউকে ভয় পায় নাঃ ওবায়দুল কাদের

শেয়ারবাজারে ক্ষতি, ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৪৮ দিন

শেয়ারবাজারে ক্ষতি, ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৪৮ দিন

টানা দরপতনে মাত্র ৪৮ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদেরই ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে গতকাল ১ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের বাজারমূল্যের হিসাব বিবেচনায় নিয়ে এ ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। এ সময়ে ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৪৮ দিন।

তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে প্রতিদিন বাজার মূলধনের হিসাব করে ডিএসই। ডিএসইর হিসাবে গত ১৮ জানুয়ারি বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৪৮ দিনে তালিকাভুক্ত সব সিকিউরিটিজ ১ লাখ ১০ হাজার ২৩১ কোটি টাকা বাজারমূল্য হারিয়েছে। তাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যক্তিশ্রেণি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তারাও। কারণ, সিকিউরিটিজের দাম কমে যাওয়ায় তাঁদের প্রত্যেকেরই পোর্টফোলিও বা পত্রকোষ সংকুচিত হয়েছে। এর মধ্যে যাঁরা শেয়ার বা অন্যান্য সিকিউরিটিজ বিক্রি করে দিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সরাসরি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আর যাঁরা বিক্রি করেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে এ ক্ষতি অনাদায়ি (আনরিয়ালাইজড) হিসেবে পত্রকোষে হিসাবভুক্ত হয়েছে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে প্রতিদিন বাজার মূলধনের হিসাব করে ডিএসই। ডিএসইর হিসাবে গত ১৮ জানুয়ারি বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।

ধিদায় বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজারের টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম হতাশা লক্ষ করা গেছে। বাজারের এ পতন শুরু হয়েছে শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর থেকে। গত ২১ জানুয়ারি থেকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কয়েক ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। এরপর কিছুদিন বাজারে শেয়ারের দাম বাড়লেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মোটামুটি একটানা দরপতন শুরু হয়।

শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতেই ২০২২ সালের জুলাই থেকে সর্বশেষ দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল। এর মাধ্যমেই দেড় বছরের বেশি সময় কৃত্রিমভাবে বাজারকে একটি সীমার মধ্যে ধরে রেখেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার পর বাজার আর বেঁধে রাখা যায়নি। থেমে থেমে দরপতন চলছেই। গতকালও বড় দরপতন হয়েছে বাজারে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশের বেশি কমে ৫ হাজার ৭৬১টি পয়েন্টে নেমে এসেছে। প্রায় তিন বছরের মধ্যে এটিই ডিএসইএক্সের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১২ মে এ সূচক ৫ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে ছিল।

 

বাজারকে আমরা বাজারের গতিতেই চলতে দিতে চাই। বাজার যে পর্যায়ে নেমেছে, তাতে আশা করছি শিগগিরই নিজস্ব শক্তিতেই বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম, নির্বাহী পরিচালক, বিএসইসি
ঢাকার বাজারের মতো বড় দরপতন হয়েছে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সিএসইর সার্বিক সূচকটি গতকাল ১১৭ পয়েন্ট বা পৌনে ১ শতাংশ কমেছে। দুই বাজারেই এদিন দরপতন হয়েছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৯ শতাংশের দরপতন হয়েছে। দাম বেড়েছে মাত্র ১২ শতাংশের। আর অপরিবর্তিত ছিল ৯ শতাংশের দাম। চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৩ শতাংশের দরপতন হয়েছে। দাম বেড়েছে ২৯ শতাংশের। আর অপরিবর্তিত ছিল ৮ শতাংশের দাম।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১ এপ্রিল—এ তিন মাসে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৬১ দিন। এর মধ্যে ৩২ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। আর সূচক বেড়েছে ২৯ দিন। বাজারে খবর নিয়ে দেখা গেছে, টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা ভয়ে শেয়ারবাজার ছেড়ে দিচ্ছেন। আরও দরপতন হতে পারে, এ ভয়ে লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত