লোহার মধ্যে হাত ঢুকে পড়ায় শিশুটি ১ ঘণ্টা ঝুলে থাকে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভায় ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের লোহার বাউন্ডারি টপকে পার হতে গিয়ে মো. রেদোয়ান (১০) নামের এক শিশুর হাতে ডুকে পড়ে লোহার রড। লোহার মধ্যে হাত ঢুকে পড়ায় শিশুটি ১ ঘণ্টা ঝুলে থাকে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
শিশুটির চিৎকারে সহপাঠীরা এগিয়ে এসে ২ পাশ থেকে লোহার রড কেটে তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে।
রেদোয়ান ১নং মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র এবং পৌরসভায় কর্মরত আলাল উদ্দিনের ছেলে।
সরেজমিন সবার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্টেডিয়ামের চারপাশের ছেলেরা ১টি মাত্র মূল গেট দিয়ে স্টেডিয়ামের ভিতর প্রবেশ করে খেলাধুলা করে। কিন্তু মূল গেটে ঢুকতে অনেক ছেলেদের দূর দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। যে কারণে শিশু-কিশোররা লোহার বাউন্ডারি টপকে পার হয় সোজা বাড়ি চলে যায়।
খেলোয়াড়দের অভিযোগ, স্টেডিয়াম নির্মাণ করার পর থেকে আমরা দক্ষিণ পাশে একটি পকেট গেট করার আবেদন করেছি; কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো কথা
শোনেনি। যে কারণে ঘটছে বারবার দুর্ঘটনা। এ পর্যন্ত তিনটি ছেলে দুর্ঘটনা স্বীকার হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যানেজার মো. আবু জাফর জানান, ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে রডের বাউন্ডারি গ্রিলের উপরে উঠে পার হওয়ায় সময় রড ছেলেটির হাতের মধ্যে ডুকে যায়। দীর্ঘক্ষণ ছেলেটা আটকা ছিল। সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘঠনাস্থলে গিয়ে ২ পাশের রড কেটে ছেলেটিকে উদ্ধার করি। পরে তাকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করি।
শেয়ার করুন