থাইল্যান্ড সীমান্তে স্টারলিংকের অবৈধ ব্যবহার: মিয়ানমার স্ক্যাম সেন্টারের নতুন শক্তি।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর হয়েছে : দিপু মনি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, অতীতের যেকোনো ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তুলনায় এবার অনেক শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন ।
নির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, সব সংবাদ মাধ্যমই এই নির্বাচনের খবর প্রচার করেছে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সব ইউপিতে স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ,শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল। নারীদের বিশাল উপস্থিতি ছিল। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ উদ্দীপনা দেখেছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সবশেষে মোট ৩০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত (তবে সিইসি জানিয়েছেন ৫৬টি) করা হয় উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ভোটকেন্দ্র তার মধ্যে ৩০টিতে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। কাজেই এটা শতকরা দুই ভাগেও পৌঁছায়নি। সেই জন্য সত্যিই আমরা খুব আনন্দিত।
তিনি বলেন, দলীয় ভিত্তিতে এই নির্বাচন হয়েছে। যার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে একেবারে তৃণমূল থেকে সুসংগত করতে, তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব তুলে আনতে এবং তৃণমূলের মানুষের ক্ষমতায়নে আমাদের এই প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে।
দীপু মনি আরো বলেন, আমরা জানি না ভোটের ফল কি হবে? তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠভাবে হয়েছে। সেটিই অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। কারণ জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছে। যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দ্রুততার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কাজেই আমরা মনে করি, নির্বাচন অত্যন্ত ভালভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন বাকি কাজগুলোও ইসি শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিশেষ করে ইউপি নির্বাচন দেখি তাহলে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বিশেষ করে ২০০৩ সালের নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে একেবারেই এর তুলনা হয় না। এমনকি ২০১১ সালে যে নির্বাচন হয়েছে তার চেয়েও এটি অনেক বেশি ভাল, শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও উৎসাহমুখর পরিবেশে হয়েছে।’
এ সময় ২০১১ ও ২০০৩ সালের অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংঘটিত ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা বিশেষ করে ইউপির ক্ষেত্রে এই রকম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়নি।’
তিনি বলেন, ২০০৩ সালের নির্বাচনে আগে, নির্বাচনের দিন ও পরের দিনে ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানি ও রক্তক্ষয় দেখেছি। আজকে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা আগের রাতে ঘটেছে। কিছু ঘটনা হয়েছে ভোটের সময়। তারপরও সেখানে তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আল্লাহর অশেষ রহমতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি দাবি করে দীপু মনি বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই কোথাও কোথাও বিএনপির প্রার্থীরাও বোমাবাজি করেছে।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় জামায়াত আবারো নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাথাচাড়া দিয়ে সহিংসতা করার চেষ্টা করেছে। কারণ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য একেবারে অনেক আগে থেকেই বিএনপির একটা প্রচেষ্টা ছিল। এমনকি আজকেও তারা শেষের দিকে গিয়ে তাদের পুরনো অভ্যাস মত তাদের কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু কোনটাতেই তারা সফল হয়নি।
নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী, সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি একটি ব্যাপক নির্বাচন। সে সেক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে সহিংসতার সংখ্যা এবং তার ধরন অনুযায়ী এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আর কোনোভাবে বর্ণনা করা যায় না।
দলীয়ভিত্তিতে নির্বাচনের চর্চা যত আমরা করতে পারব ততই তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও শৃংখলার মধ্যে চলে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নির্বাচন সুষ্ঠাভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্তাব্যক্তি ও আইনশৃংখলারক্ষা বাহিনীকেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান তিনি।
শেয়ার করুন