আপডেট :

        ‘রাজা চাই না, গণতন্ত্র চাই’ স্লোগানে তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্র

        "সময়ের খেলা: সন্ধ্যা থামে, বছর ছোটে"

        দুর্নীতির ছায়ায় বাংলাদেশ ফুটবল: বিনিয়োগের অভাবে লিগের পতন ও খেলোয়াড়দের হতাশা

        সেন্টমার্টিন দ্বীপ উন্মুক্ত হচ্ছে নভেম্বর থেকে, পর্যটকদের জন্য সুসংবাদ দিলেন উপদেষ্টা

        রিয়াদের প্রত্যাশা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'আক্রমণ-সমান' চুক্তি

        জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারে রোববার থেকে সাইট ব্লক

        নিউইয়র্কে সিলেটিদের প্রতিবাদ: উন্নয়ন বঞ্চনায় ক্ষোভ

        নিউইয়র্কে ডমেস্টিক সহিংসতা রোধে নতুন বিশেষ ইউনিট

        জুলাই সনদ সই শেষ, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এখনও অনিশ্চিত

        ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাইলফলক: ইইউ

        জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে সং ঘ র্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা

        দেড় মাস পর আবার খুলছে সুপ্রিম কোর্ট

        ২৫ আনসার সদস্য আহত, ১০ জন সিএমএইচে ভর্তি

        রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি: ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে পাকিস্তান

        সালমার তিন বিয়ে ও বিতর্ক: ফিরে দেখা জীবনের গল্প

        চায়ের দোকান থেকে বলিউড: ওম পুরির সিনেমার মতো জীবন

        বলিউড অভিনেত্রীর গর্ভপাতের পর কঠিন অভিজ্ঞতার বর্ণনা

        হোপের দাপটে বাংলাদেশের জয়ের আশা ঝুঁকিতে

        রিশাদের দাপটে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো জয়

        বর্ধিত মাশুল স্থগিতে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন, ৭ দিনের আল্টিমেটাম

কৃষকের মুখে নেই হাসি

কৃষকের মুখে নেই হাসি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকা ও আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় দিনাজপুরে এবার বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। তার পরও কৃষকের মুখে হাসি নেই। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য কম থাকায় বোরো আবাদ করে এক প্রকার লোকসানের মুখে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা। তারা জানান, বাজারে দাম না বাড়লে এবার চরম লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের।


দিনাজপুর সদর উপজেলার নশীপুর ফার্ম হাটে বিআর-৮৮ জাতের ১০ বস্তা (প্রতি বস্তা ২ মণ) ধান বিক্রি করতে আসেন পার্শ্ববর্তী বিরল উপজেলার আজিমপুর গ্রামের কৃষক বিধান চন্দ্র রায়। হাটে প্রতি বস্তা ধান বিক্রি করেন ১ হাজার ৯০০ টাকা দরে। মানে প্রতি মণ ৯৫০ টাকা দরে। তিনি বলেন, ‘এই দামে ধান বিক্রি করে কোনো মতে উৎপাদন খরচ উঠছে। কিন্তু লাভের দেখা মিলছে না।’


কৃষক বিধান চন্দ্র রায় জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি খরচ পড়েছে প্রায় ২৮ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমির বর্গাবাবদ জমির মালিককে দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। এতে বিঘায় তার উৎপাদন খরচ দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার টাকা। তিনি জানান, প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ৪০ মণ ধান। বাজারের বর্তমান মুল্য অনুযায়ী এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে তিনি পাচ্ছেন ৩৮ হাজার টাকা। এতে উৎপাদন খরচই তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। তিনি জানান, প্রতি বছরই কম দামে ধান বিক্রি করে বেশি দামে চাল কিনে খেতে হয় তাদের। কৃষকরা ধানের প্রকৃত দাম পাচ্ছেন না।

শুধু এই এলাকা নয়, দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং সেই তুলনায় বাজারে দাম না থাকায় উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের। দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এবার বর্গা নিয়ে ছয় বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু ধানের যে বাজার মূল্য, তাতে খরচই উঠছে না।’

আউলিয়া পুকুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ছয় বিঘা জমিতে চিকন জাতের ধান আবাদ করেছি। ইতিমধ্যে ৪ বিঘা জমির ধান কেটেছি। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৪৫ মণ।’ তিনি বলেন, ‘বিঘাপ্রতি জমিতে ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ২০-২৫ হাজার টাকা। কিন্তু বাজারে ধানের দাম নেই। এক মণ ধান বিক্রি করছি মাত্র ৯৫০ দরে। এতে উত্পাদন খরচ তোলা নিয়ে শঙ্কায় আছি।’

নশীপুর ফার্ম হাটের ধানক্রেতা বিভাকর বসাক জানান, দিনাজপুরে সবেমাত্র বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। মিল মালিকরা এখনো পুরোপুরি ধান কিনতে শুরু করেননি। এ কারণে বাজার কিছুটা কম। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, জেলায় এবার ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের চাইতে ৭১০ হেক্টর বেশি। এবার বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন (চালের আকারে)।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত