ঢাকার ভেতরে যারা আছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে ডিএমপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
থানায় হামলা-গোলাগুলি, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর থানায় হামলা, ভাঙচুরের জেরে পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে দলটির নেতা-কর্মীরার সঙ্গে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৯ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ কর্মী এজাহারভুক্ত আসামি ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মোস্তাক সিকদারকে পুলিশ রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের মধ্যে আহত হয়েছেন ২৫-৩০ জন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া এমরান জানান, একটি মারামারি মামলার আসামি মুস্তাক সিকদারকে ধাওড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। এরপর তার এলাকার কয়েক হাজার লোক এসে থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ইটের আঘাতে অন্তত ৭ জন পুলিশ আহত হয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শটগানের গুলি বর্ষণ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে থানা আক্রমণকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তার আগে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সানিয়া আকতার মুক্তি বলেন, আহত ২৪ জনকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন পুলিশ ও ২১ গ্রামবাসী। প্রাথমিক টিকিৎসার পর তাদের ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
ঘটনার পর শৈলকুপা শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। শহরজুড়ে পুলিশ টহল চলছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন