চোখে মাইক্রোচিপ বসিয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া
গত ২৩ নভেম্বর ইসরেয়েলি বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া। সাত মাসেরও বেশি সময় আটক থাকার পর স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। খবর তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
মধ্য ও দক্ষিণ গাজার পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের মধ্যে ছিলেন ডা. সালমিয়াও। মুক্তিপ্রাপ্তদের দেইর আল-বালার আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল এবং খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি দৈনিক মারিভ বলেছে, কারাগারে জায়গা দিতে না পারার কারণে ইসরায়েল গাজার ৫৪ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
ডা. সালমিয়া আনাদোলুকে বলেন, বন্দীদের অবস্থা `মর্মান্তিক’ এবং এটি ফিলিস্তিনের ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’। বন্দিদের তীব্র খাদ্য সংকটে রাখা হয়েছে এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্দি ও চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনী চরম নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে। শত শত চিকিৎসাকর্মীকে টার্গেট করা হয়েছে এবং দখলদারদের কারাগারে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি ১৯৪৮ সালের নাকাবার চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা উল্লেখ করে ইসরায়েলি কারাগার থেকে সমস্ত বন্দীদের মুক্তির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
নাকাবা বলতে ১৯৪৮ সালে সংঘটিত ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনি আরবদের দেশত্যাগকে বোঝানো হয়। এসময় সাত লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়। এছাড়াও নাকবা দ্বারা মূল যুদ্ধ এবং ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের উপর প্রভাব ফেলা ঘটনাবলীকেও বোঝানো হয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন