গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য ‘অলীক ও অবাস্তব’: বিএনপি
২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.০৫ শতাংশ হবে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেটিকে ‘অলীক’ ও ‘অবাস্তব’ বলে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি।
সরকার চাপ প্রয়োগ করে এ রিপোর্ট প্রকাশ করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ বিএনপির।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে অর্থনীতির যেসব সূচক জিডিপির প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেসব সূচকের অবস্থা সন্তোষজনক নয়। তাছাড়া ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের অভাব, দুর্নীতিসহ অর্থনীতির সার্বিক বিষয় অবনতিশীল হওয়ায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব। এমনকি বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও (এডিবি) বাংলাদেশের এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছে।
তিনি বলেন, রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে এবারই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ৭ শতাংশের ঘরে যাবে। এ দাবি সঠিক নয়। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭.০৬শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরো অনেকটা তাড়াহুড়ো করে এই হিসেবটি প্রকাশ করেছে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগ সরকার এসব বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছে। তিনি ‘মিথ্যা তথ্যে’ বিভ্রান্ত না হতে তিনি জনগণকে আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশের বিশাল অংকের পুঁজি পাচার হচ্ছে। পুঁজি পাচার জাতীয় অর্থনীতিকে রক্তশূণ্য করে ফেলছে। সরকার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ ঘাটতি পুরণের কৌশল নিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। এ কারণে ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে। সর্বক্ষেত্রে সন্ত্রাসী, চাদাঁবজি ও সরকারের অব্যবস্থাপনায় দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। দেশে বিনিয়োগ না থাকায় দেশের টাকা বাহিরে চলে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী মাথাপিছু আয় গত অর্থবছরের ১৩১৬ ডলার থেকে চলতি অর্থ বছরের ১৪৬৬ মার্কিন ডলাওে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় ব্যাপক জনগোষ্ঠির প্রকৃত কল্যাণের সূচক নয়। এর জন্য জানা প্রয়োজন আয় বৈষম্যেও সূচিক। বাংলাদেশে আয় বৈষম্য বাড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জতীয় আয় নির্ধারণে ভিত্তি বছর পরিবর্তন করার ফলে বর্তমান দলীয় সরকারের আমলে ২০০৯ সালে মাথাপিছু আয় ১২১ডলার বৃদ্ধি পেয়েছিলো, যা নেহায়েতই পরিসংখ্যানগত চমক। বাস্তবে সাধারণ মানুষের অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। একারণেই পরিসংখ্যানের চমকে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদব আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।
News Desk
শেয়ার করুন