'আর কোনো দাবি নেই, আক্কাছ-মেরাজের ফাঁসি চাই'
'আর কোনো দাবি নেই, আক্কাছ-মেরাজের ফাঁসি চাই'- রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার বিচারের দাবিতে এ স্লোগানে মুখরিত বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে কালো পতাকা ও ব্যাচ ধারণ করে বিক্ষোভ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগ।
রাজশাহীর বাঘায় প্রধানমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় দায়েরকৃত ২১টি মামলার আসামি পৌর মেয়র আক্কাছ আলী এবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি হয়েছেন। তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন উপজেলার পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজ। তাদের ফাঁসি চেয়ে এবার আন্দোলনে নেমেছে বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় এক সমাবেশে বাবুল হত্যায় সম্পৃক্ত সব আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং আক্কাছ-মেরাজের ফাঁসি চেয়ে উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয় তারা।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন নিহত আশরাফুল ইসলাম বাবুলের বড় ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আশিক জাবেন লাবু, রাহয়ানুল হক, শুভ শেখ, বাঁধন, রঞ্জু হাসান, ইশা ও শাহীনুরসহ অনেকে। ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, আমরা খুনের বদলে খুন চাইনা। আমরা অপরাধীদের শাস্তি চাই। আক্কাছ-মেরাজের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জিামান রিন্টু, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শহিদুজ্জামান সাইদ, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, বাঘা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিপ্পন, বাঘা পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু ও বাঘা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেনসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে পৌর মেয়র আক্কাছের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় পৌর মেয়র আক্কাছের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে হামলা চালানো হয়। এতে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। পরে ২৬ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন