গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
ধর্মহীন শিক্ষানীতি চাপিয়ে দিলে কঠোর আন্দোলন: শীর্ষ উলামায়ে কেরাম
ইসলাম বিরোধী কোনো শিক্ষানীতি মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দিলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।
বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিবৃতিতে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম বলেন, কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী ধর্মহীন জাতীয় শিক্ষানীতি অবিলম্বে সংশোধন করুন। ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা জোর করে এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমানের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইলে সরকারকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। ধর্মহীন শিক্ষানীতি শুধু অনাকাঙ্খিত এবং ইসলামী মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থী নয় বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ঈমান, আকিদা ও বিশ্বাসের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। মূলত: ইহা দেশকে ইসলাম শুন্য করার দেশি-বিদেশি ইসলাম বিদ্বেষী মহলের ধারাবাহিক চক্রান্তেরই অংশ।
তারা বলেন, বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যে ইসলামী বিষয়গুলো তুলে তদস্থলে মুসলমানদের হিন্দুত্ববাদ পড়তে বাধ্য করা হয়েছে। ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনের মাধ্যমে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশকে ধর্মহীন ও নাস্তিক দেশে পরিণত করার দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে।
উলামায়ে কেরাম আগামী জুময়াবার দেশের সকল মসজিদ থেকে গণপ্রতিবাদ করা ও মুসল্লিদেরকে সচেতন ও সজাগ করার জন্য ইমাম-খতীবদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেন। রাজধানী ঢাকাসহ পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে কঠোর প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।
শীর্ষ উলামায়ে কেরাম আরো বলেন, সরকারকে অনুরোধ করব অবিলম্বে কুরআন-সুন্নাহ ও ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয় সমূহ সংশোধন করুন। পাঠ্য পুস্তক উৎসবের মাধ্যমে যে সমস্ত পুস্তক বিতরণ করা হয়েছে তা অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করুন। জাতীয় শিক্ষা নীতি’১১ এর ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্বলিত ২৪ ধারার ত্রুটি সমূহ সংশোধন করে ১৯ দফা সুপারিশ মালা (যা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পীকারের নিকট পেশ করা হয়েছে) অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর পক্ষ অলম্বন করুন। অন্যথায় ঈমান ও দেশ রক্ষার স্বার্থে সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম কঠোর কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে তাদের ঈমানী ও নৈতিক অধিকার আদায় করবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি শাইখ আবদুল মোমিন, শীর্ষ আলেমেদ্বীন রাবেতা আলম আল-ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, মাওঃ মোহাম্মাদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, শাহতলীর পীর মাওঃ আবুল বাসার, ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আব্দুল্ল¬াহ মোঃ হাসান, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী,হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব মাওঃ শাহ আরিফ বিল্ল¬াহ সিদ্দীকি, মীরের সরাইর পীর সাহেব মাওঃ আঃ মোমেন নাছেরী, টেকের হাটের পীর সাহেব মাওঃ কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী প্রমুখ।
News Desk
শেয়ার করুন