গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখ হারাতে বসলেন শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান টুটুল
পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে চোখ হারাতে বসেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের কলেজছাত্র আমিনুর রহমান টুটুল (২৩)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিলে ১টি গুলি এসে লাগে তার বাঁ চোখে। এখন বাঁ চোখে মোটেও দেখতে পাচ্ছেন না। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না টুটুটের পরিবার।
আমিনুর রহমান টুটুল সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের ছাত্র ও তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামের আলমের ছেলে।
জানা যায়, গত ১৬ জুলাই সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজ মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে টুটুল। একপর্যায়ে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের ছোড়া ৩২টি রাবার বুলেট লাগে টুটুলের শরীরে। একটি গুলি এসে বিঁধে তার বাঁ চোখে। পরে সহপাঠীদের সহায়তায় তাকে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ১৮ জুলাই ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই হাসপাতালে রেটিনা অপারেশন করতে হবে বলে তাকে জানানো হয়।
আহত শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান টুটুল বলেন, গত ১৬ জুলাই আন্দোলনে সহপাঠীদের সহায়তা করার সময় ৩২টি রাবার বুলেট এসে লাগে আমার শরীরে। ছুটোছুটির মাঝে পুলিশের ছোড়া গুলি চোখেও লাগে। এ সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আমার রুমমেট ও সহপাঠীরা আমাকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে।
এদিকে টুটুলের বাবা আলম হোসেন জানিয়েছেন, তিনি সহায় সম্বলহীন অতি দরিদ্র একজন মানুষ। এরই মধ্যে ছেলের চোখের চিকিৎসার জন্য হাঁস-মুরগি বেচে ও ধার-দেনা করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। এখনো চোখের রেটিনা অপারেশন বাকি। এ সময় তিনি বিত্তবান ব্যক্তি ও সরকারের কাছে টুটুলের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনাঙ করেন।
অপরদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন, টুটুলের চোখ বাঁচাতে হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তার চোখের অপারেশনের জন্য ৫ লক্ষাধিক টাকা লাগবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন