গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নিজামী
আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী।
শুক্রবার দুপুরে পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তাদেরকে এ কথা জানিয়েছেন বলে জামায়াতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
মাওলানা নিজামী পরিবারের সদস্যদের কাছে বলেছেন, জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। মহান আল্লাহ আমার মৃত্যুর জন্য যে সময় ও স্থান নির্ধারণ করে রেখেছেন ঠিক সে সময় এবং সে স্থানেই আমার মৃত্যু হবে। তার আগেও নয়, পরেও নয়। আমার মাঝে কোনো দুর্বলতা নেই। আমি কোনো অন্যায় করিনি। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ সরকার আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আল্লাহ যদি আমাকে শহিদী মৃত্যু দেন তাহলে সেটা হবে আমার চরম সৌভাগ্য।
তিনি বলেছেন, আমি আমার পরিবার, সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণ করার আহবান জানাচ্ছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। আমি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করছি প্রাণের মালিক আল্লাহ। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি দেশবাসীকে আমার সালাম জানাচ্ছি ও দোয়া চাচ্ছি যাতে আমি জীবনের শেষ মুহূর্র্ত পর্যন্ত ঈমানের ওপর দৃঢ় ও অবিচল থাকতে পারি। আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আল্লাহ আমার জন্মভূমি এই প্রিয় বাংলাদেশকে ইসলামের জন্য কবুল করুন।
শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নিজামীর সঙ্গে দেখা করতে যান পরিবারের সদস্যরা। তাদের মধ্যে আছেন নিজামীর স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও এক নাতি।
কাশিমপুর কারাগার-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নিজামীর আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে নিজামীর বিরুদ্ধে দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
রায়ে রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ায় সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি আছে নিজামীর প্রাণভিক্ষার বিষয়টি। তবে শেষ পর্যন্ত নিজামী প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন না বলে জানিয়ে দিলেন।
শেয়ার করুন