নগদে ভাড়া নেওয়ার সুযোগ দিল উবার, চালকদের উদ্বেগ বাড়ছে নিরাপত্তা নিয়ে
খালিয়াজুরীতে সরকারি অফিস কর্মদিবসেও তালাবদ্ধ
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিতি ও পদ শূন্যতার কারণে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিস প্রায়শই কর্মদিবসেও থাকে তালাবদ্ধ। আবার কয়েকটি অফিসে দরজা খোলা রাখা হলেও, সেখানে থাকেন না দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। স্থানীয়রা বলছেন, ঊর্ধ্বতনদের নজরদারি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার অভাবেই ঘটছে এমন ঘটনা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সমবায় অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, আনসার ভিডিপি অফিস, পরিসংখ্যান অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে। আবার সমাজসেবা অফিসের দরজা খোলা থাকলেও সেখানে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ কর্মস্থলে অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা প্রায় কর্মস্থলে আসেন না। আর পূর্ণ দায়িত্বে পদায়িত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীই কাগজে-কলমে উপস্থিতি দেখালেও বাস্তবে তারা অধিকাংশ সময়ই থাকেন অনুপস্থিত।
স্থানীয়দের মতে নিয়মিত অফিস করেন না যেসব কর্মকর্তা তারা হলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা অজিত কুমার ঘোষ, রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর মঞ্জুআরা বেগম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম তৈকির ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান।
এসব অফিসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে অধীনস্থ অন্য কর্মচারীরাও নিয়মিত কর্মস্থলে থাকেন না। এজন্য অফিসিয়াল নানা কাজে ব্যাপক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এসব দপ্তরে কাজ করতে এসে দিনের পর দিন হয়রানি ও দুর্দশার শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ।
এদিকে, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার জবাবে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম তৈকির জানান, তিনি পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্য মাঝেমধ্যে বাধ্য হয়ে তাকে খালিয়াজুরীতে অনুপস্থিত থাকতে হয়। তবে অভিযুক্ত অন্যান্য কর্মকর্তারা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তারা নিয়মিতই কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন।
জানা গেছে, এ উপজেলার ১০টি সরকারি দপ্তরের ১২ জন কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদগুলো হলো, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি), মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার, সাব-রেজিস্টার, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এসব পদের বেশিরভাগই শূন্য হয়েছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এ পদগুলোর বিপরীতে জেলা কিংবা অন্যান্য উপজেলার কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে।
পদ শূন্যতা নিয়ে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, এ উপজেলায় ইউএনও পদায়িত হতে কয়েকটি দিন লাগলেও এসিল্যান্ড পাওয়া যাবে অচিরেই। তাছাড়া, এখানকার অন্যান্য পদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন