দীপিকা-রণবীরের বেবি দুয়া: মায়ের চোখ নিয়ে ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে ছবি
বিশিষ্ট সাংবাদিক সাদেক খান আর নেই
বিশিষ্ট সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক, কলামিস্ট ও শিল্প সমালোচক সাদেক খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...রজিউন)।
সোমবার বারিধারার বাসায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন তার ভাই বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সাদেক খানের গাড়ি চালক নজরুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টার দিকে তিনি গোসল করতে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে বেলা ১২টার দিকে দরজা ভেঙে তাকে বাথরুমের ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে রাশেদ খান মেননকে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে সাদেক খানের মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান নজরুল।
সাদেক খানের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে দৈনিক সংবাদে সাংবাদিকতা শুরু করা সাদেক খান বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘হলিডে’তে লিখেছেন।
ষাটের দশকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা বিচারপতি আবদুল জব্বার খানের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাদেক খানই ছিলেন সবার বড়। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়।
সাদেক খানের ভাইবোনদের মধ্যে আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান ছিলেন একজন সচিব। কবি হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ নামে। গত শতকের আশির দশকে তিনি এইচ এম এরশাদ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আরেক ভাই এনায়েতুল্লাহ খান ছিলেন সাপ্তাহিক হলিডে ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। প্রচণ্ড ভারত বিরোধী হিসেবে খ্যাত এনায়েতুল্লাহ খান জিয়াউর রহমানের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর এরশাদের সময়ে চীন ও মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
বাকি ভাইবোনের মধ্যে সেলিমা রহমান বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান। খালেদা জিয়ার চার দলীয় জোট সরকারে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে।
বামপন্থী রাজনীতিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বর্তমানে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করছেন। আর তাদের আরেক ভাই শহিদুল্লাহ খান বাদল একসময় ঠিকাদারী ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা ব্যাংকের একজন পরিচালক এবং নিউ এইজের পরিচালনা পর্যদেও যুক্ত।
সাংবাদিক সাদেক খানের মৃত্যুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছেন।
এছাড়া সাংবাদিক নেতারাও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
শেয়ার করুন