যে দায়িত্বভার নিয়েছি, যে দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হয়েছে
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন বলেন, যে দায়িত্বভার নিয়েছি, যে দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হয়েছে কতটুকু করতে পারব
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে ‘এ প্রোট্রেট ইন রিফ্লেকশন্স’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
‘এ প্রোট্রেট ইন রিফ্লেকশন্স’ বইটি লিখেছেন পুলিশের সাবেক আইজি ড. এম এনামুল হক। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুধীজনরা। ছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। অতপর প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশ করা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, বাস্তবতার নিরিখে আমাদেরকে এখন আইটির সঙ্গে পরিচিত হতে হয়। বইয়ের বাইরেও অনেক বেশি সময় ইলেকট্রনিক্স স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে হয়। গণমাধ্যমসহ হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্ট্রাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটসহ অজস্র মাধ্যম তো রয়েছেই। তারপরেও বইয়ের আবেদন থেকে যায়। নতুন বইয়ের কড়কড়ে কাগজের গন্ধ আমাদের আনমনা করে ফেলে। এর কোনো তুলনা হয় না। আর স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় ক্লান্ত করে দেয়। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে কাগজের বই বেশি পছন্দ করি।
বইয়ের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ বলেন, বইটির প্রচ্ছদ ও নামকরণ চমৎকার। কর্মজীবনের নানা দিক তুলে এনেছেন বইটিতে। এতে যেসব তথ্য রয়েছে এদেশের রাজনীতি ও সরকারি চাকরির সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা এর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।
বেসরকারি সংস্থা ফেমার চেয়ারম্যান মুনিরা খান বলেন, লেখক গণতন্ত্রমনা। তিনি অন্যের মতকে শ্রদ্ধা করেন। মানুষ কীভাবে নিজের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলে এবং দেশের জন্য কাজে লাগানো যায় সেটা উনি করে দেখিয়েছেন। বইটি পড়লে তার প্রমাণ পাবেন।
এনবিআর সদস্য এফএইচ আরিফ বলেন, স্যোশাল মিডিয়ার কারণে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা কম। লেখক যা কিছুই করেছেন নিবেদিতভাবে করেছেন। এ কারণে ৮৬ বছর বয়সেও তিনি এরকম একটি বই লিখতে পেরেছেন। উনি একজন সমাজ সচেতন মানুষ। তার কাজের প্রতিফলন এই বইতে রয়েছে। বইটি আমাদের সমৃদ্ধ করেছে।
লেখকের স্ত্রী কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক অনামিকা হক লিলি বলেন, লেখক এই বয়সে এসে বইটি লিখতে পেরেছেন এটাই সার্থকতা। নানাভাবে প্রেরণা ও তাগাদা দিয়েছি বইটি লেখার জন্য। শেষ পর্যন্ত উনি বইটি লেখা শেষ করেছেন।
বইয়ের লেখক সাবেক আইজি ড. এম এনামুল হক বলেন, আমি আমার পরিবার, এলাকার লোকজন ও সহকর্মীদের উপর লিখেছি বইটিতে। ইন্টারপোলে ছিলাম, সেখানকার লোকদের নিয়েও লিখেছি। বইটি লেখার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আমার স্ত্রী। যার কারণে লেখা শেষ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আমাকে সাহায্য করেছেন। এজন্য প্রত্যেকের কাছে আমি ঋণী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক সচিব নাজমুল আহসান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন লেখকের নাতনি নাভিন পারিশা হক ও রুশনান আনুশা এবং বইয়ের প্রকাশক কামরুল ইসলাম।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন