আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত বেশ সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী চমক
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজপথ-সব মাধ্যমেই বেশ সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক ।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ও হাসিনা সরকারের প্রতি প্রায়শই ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। এর আগেও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধের ঘোষণায় নিজের ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যের ঘর বন্ধ করে পোস্ট দিয়েছিলেন।
সেসময় অভিনেত্রী লেখেন, ‘দিলাম বন্ধ করে লীগের একমাত্র বিচরণের জায়গা ফেসবুক কমেন্ট সেকশন! এখন ওরা কই ঘেউ ঘেউ করবে! থাক সোনারা, মন খারাপ করো না।’
সম্প্রতি অভিনেত্রী চমক স্বৈরাচার সরকার নিয়ে আরেকটি পোস্ট করেন। এতে অভিনেত্রী তিনি মনে করেন, গত ৫ আগস্ট যদি শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হতো, তাহলে আন্দোলনকারীদের এতদিনে দেশদ্রোহীতার অপরাধে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হতো।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় আওয়ামী সমর্থকদের সরাসরি সতর্কও করেছেন অভিনেত্রী।
চমক তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কোনো একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি ভালোবাসা আর গোটা দেশকে ভালোবাসা এক জিনিস না। দুটোকে মিলিয়ে ফেলবেন না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘স্বৈরাচার সরকার ৫ আগস্ট পতন না হলে, আমরা যারা আন্দোলনে নেমেছিলাম তাদের দেশদ্রোহীতার অপরাধে এতদিনে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতেন। সেই ভয় জেনেও আমরা নেমেছিলাম রাস্তায়। তাই জীবনের ভয় আমরা করি না।’
সবশেষ এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মৃত্যু নিশ্চিত সামনে আসলেও যেটা ন্যায় সেটাকে ন্যায়ই বলব, যেটা অন্যায় সেটাকে অন্যায়। তাই যারা এখনো ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, তারা দুইটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুম দেন। নিজের মুরগির ন্যায় প্রাণ বাঁচিয়ে আজীবন বিড়ালের ন্যায় বেঁচে থাকুন, আমরা বাঘের ন্যায় একদিন বেঁচে থাকতে পারলেও গর্বিত। ধন্যবাদ।’
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন