প্লট ও ফ্ল্যাট দুটোই পাবেন সাংসদরা
সংসদ সদস্যরা প্লট ও ফ্ল্যাট দুটোই পাবেন বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটা প্রকল্প বছরের পর বছর চলতে পারে না। তাই আমরা ঠিক করেছি, ২০১৮ সালের মধ্যে পূর্বাচল নতুন শহরের কাজ শেষ করব। এই পূর্বাচল শহর হবে একটি নতুন ও স্মার্ট শহর। এখানে ক্যাবল সব মাটির নিচে থাকবে।
অধিক লোকের আবাসন সুবিধার জন্য পূর্বাচলে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ৬২ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ও ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে ১১ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এই প্রকল্পও ২০১৭ সালে শেষ হবে। উত্তরা আদর্শ প্রকল্পও ২০১৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ১৫ হাজার ৩৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। প্রায় সবগুলো ফ্ল্যাটই বিক্রি হয়েছে। মাত্র ৫০০-৬০০ ফ্ল্যাট অবিক্রিত আছে। কোনো অ্যাপার্টমেন্ট অবিক্রিত থাকে না।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার জিটুজি পদ্ধতিতে মালোয়েশিয়ার সঙ্গে ৮ হাজার ৪৫১টি অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করছে। চার বছরে অর্ধেক টাকা দিয়ে অ্যাপর্টমেন্ট গ্রহণ করা যাবে। বাকি অর্ধেক ১৬ বছরে ৯ শতাংশ সার্ভিস চার্জ হারে পরিশোধ করতে পারবে।
এ ছাড়া রাজউকের অধীনে প্রায় ১ লাখ অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, যেসব মাননীয় সংসদ সদস্য আমার কাছে জমি চাচ্ছেন, আমি মনে করি, জমি না নিয়ে এই সুযোগ গ্রহণ করুন, অ্যাপার্টমেন্ট নেন।
এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা নো নো বলে সমস্বরে প্রতিবাদ করেন। এ সময় কিছুক্ষণ কথা বলা বন্ধ করেন মন্ত্রী। পরে ডেপুটি স্পিকারের হস্তক্ষেপে আবার বক্তৃতা শুরু করে মন্ত্রী বলেন, অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার পরও আমি নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এটি অনেক দূর এগিয়েছে। এখানে প্রায় ২ হাজার ২০০ একর জমির ওপর নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার পরও সেখানে আপনাদের প্লট দেওয়া হবে।
মন্ত্রী-এমপিদের নিজ এলাকায় প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা করছি। ইতিমধ্যে ৫৫টি এলাকায় এটি করেছি। আপনারা ২০ একরের মধ্যে প্রকল্প দেন। পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা করতে পারবেন। খরচ দেবে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। মানুষ যাতে শহরমুখী না হয়, সেজন্য এটা করছি।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন