কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় মীর কাসেম
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।
সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুপুরের আগে ঢাকা কারাগারে পৌঁছালে তাকে কনডেম সেলে রাখা হয় বলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জৈষ্ঠ্য জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও সেই সাজা বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কাসেমের আইনজীবীরা রবিবার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন। রোজায় সুপ্রিম কোর্টের চলমান অবকাশে রিভিউ শুনানি হবে কি না- সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রিভিউ না টিকলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন মীর কাসেম। সে আর্জিও নাকচ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ তার ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে। তার আগে আসামির সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য কাসেমকে। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম ১৯৮৫ সাল থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। তিনি হলেন জামায়াতের পঞ্চম শীর্ষ নেতা, চূড়ান্ত রায়েও যার সর্বোচ্চ সাজার সিদ্ধান্ত এসেছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন