"চামড়া বিক্রি না হওয়ায় পচন, দুর্গন্ধে ভুগছে বাগমারাবাসী"
দশ পিস ছাগলের চামড়া ১০০ টাকাতেও কিনছেন না ব্যাপারীরা। বকরির চামড়া পড়ে আছে এখানে-সেখানে। ক্রেতারা বলছেন, লবণ ও শ্রমিক খরচই তোলা যাবে না। তাই অবিক্রীত চামড়া এভাবেই পড়ে আছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভাগনদী বাজারে।
আজ রোববার সরজমিন দেখা যায়, ভগনদী বাজারের রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ছড়ানো-ছিটানো কাঁচা চামড়া। বেশিরভাগই ছাগলের। পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারিদিক। বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা গন্ধ সহ্য করতে না পেরে ব্যবস্থা নিতে খুঁজছেন হাট ইজারাদারকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জুলকার নাইম বাবু সমকালকে বলেন, কোন দামেই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া না কেনায় এভাবে পড়ে আছে। পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। রাষ্ট্রের এই রপ্তানি পণ্য এভাবে পড়ে নষ্ট হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি।
মজনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি চামড়া বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিয়েছেন বলেন জানান। তার অভিযোগ, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কম কিনছেন বলেই অনেক কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে না।
জুয়েল রানা নামে এক মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, লবণ ও শ্রমিক খরচ দিয়ে প্রতি পিস ছাগলের কাঁচা চামড়ায় গড়ে খরচ পড়েছে ২৩০-২৪০ টাকা। কিন্তু গত বছর সে সংরক্ষিত ছাগলের চামড়া ২০০ টাকার নিচে বিক্রি করেছেন। তাই এ বছর তিনি কম চামড়া কিনেছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী আকরাম হেসেন বলেন, প্রতি ৭০ কেজির এক বস্তা লবণের দাম ৯০০-১০০০ টাকা। সেই সঙ্গে কাঁচা চামড়াতে লবণ লাগানোর শ্রমিক খরচ। তাতে চামড়া মজুদ করে যে দামে বিক্রয় হবে, তা ভেবেই ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে ভয় পাচ্ছেন।
হাট ইজারাদার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চামড়াগুলো যদি কেউ নিয়ে না যায়; তাহলে অবশ্যই সেগুলো সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা পশুসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, এ বছর বাগমারায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার কোরবানির পশু জবাই হয়েছে। তবে কোথাও কোনো কাঁচা চামড়া অবিক্রীত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন