আপডেট :

        গাজা সংকটে অগ্রগতি, শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্নের পথে

        হঠাৎ বেড়ে গেল প্রবেশ ফি, ট্রেইলার চালানো বন্ধ মালিকদের

        টেস্টের ছোঁয়া, টোয়েন্টির গতি—অদ্ভুত নিয়মে নতুন ফরম্যাট

        জুলাই সনদ স্বাক্ষর থেকে সরে দাঁড়াল গণফোরাম

        প্রতিদিনের খাবারেই লুকিয়ে আছে প্রাণঘাতী বিষ

        যাত্রার আগে এনআইডি বাধ্যতামূলক করছে রেলওয়ে

        পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি না পেলে জুলাই সনদে সইয়ে অস্বীকৃতি এনসিপির

        সমুদ্র বাণিজ্যে নতুন ফি: বন্দরে অতিরিক্ত খরচের ঘোষণা

        বাংলাদেশী শর্ট ফিল্ম 'নিশি'র EMA জয়

        মিরাজের প্রশংসা: বাংলাদেশ দলের খেলায় রয়েছে সম্ভাবনা

        পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ ব্লকেড: ভাতা বৃদ্ধি ও জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা অটল

        গাজায় স্থায়ী শান্তির পথে: ট্রাম্প দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেন

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট

        ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: আহত ৫ জন হাসপাতালে

        প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেডিয়েশন থেরাপি চলছে

        টেনেসিতে বিস্ফোরক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, কেউ বেঁচে নেই

        মিসিসিপিতে ফুটবল খেলার পর গণগুলি: নিহত ৪, আহত ১২

        পুতিনের মন্তব্য: ট্রাম্প বঞ্চিত হওয়ায় নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ

        সমুদ্রের তলায় ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকি

        ইশরাক হোসেনের জীবনের নতুন অধ্যায়: কে তিনি বিয়ে করছেন?

আজ পলাশী দিবস: সিরাজউদ্দৌলার বীরত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প

আজ পলাশী দিবস: সিরাজউদ্দৌলার বীরত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প

আজ ২৩ জুন। ঐতিহাসিক পলাশী দিবস। ১৭৫৭ সালের এই দিনে ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাহিনীর মুখোমুখি হয় ইংরেজ বাহিনী। যুদ্ধের নামে এক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পরাজিত হন নবাব, প্রায় দুই শ বছরের জন্য অস্তমিত হয় বাংলার স্বাধীনতার সূর্য।

এই জন্য দিনটিকে ২৩ জুন পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস বলা হয়। সেই যুদ্ধে ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রে তাদের আধিপত্যবাদের জয় হয়েছিল আর পতন হয়েছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে ২৩ মাইল দক্ষিণে ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল দেশ মাতৃকা রক্ষার সেই যুদ্ধ।

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে সিংহাসন থেকে উচ্ছেদ করার জন্য দুজন খ্যাতিমান ব্রিটিশ সেনাপতি ক্যাপ্টেন ক্লাইভ ও অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের নেতৃত্বে একদল সৈন্যকে জাহাজযোগে মাদ্রাজ থেকে বাংলায় পাঠানো হয়।

তাদের উদ্দেশ্য ছিল নবাবকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করে বাংলার মসনদ দখল করা।
এই জন্য ব্রিটিশরা এক বিশাল ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। তাদের সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ ভারতীয় ধনকুবের জগৎশেঠ, রাজ কর্মচারী রায় দুর্লভ, রাজ বল্লভ এবং রাজপরিবারের আখির চাঁদ, উমি চাঁদ, ঘষেটি বেগম প্রমুখের সঙ্গে আলোচনা করেন।

তাদের মাধ্যমে ব্রিটিশরা জয়ী হলে নবাবের প্রধান সেনাপতি মীর জাফরকে বাংলার মসনদে বসানো হবে বলে  আশ্বাস দেয় ধূর্ত ক্লাইভ।

কিন্তু নবাব ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক মীর জাফরকে সন্দেহ করে প্রধান সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ করে আব্দুল হাদীকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন।
কূটচালে পারদর্শী মীর জাফর তখন পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করে নবাবের মন গলিয়ে পুনরায় প্রধান সেনাপতি পদে বসেন। সে সময় নেওয়া ওই ভুল সিদ্ধান্তই নবাব সিরাজদ্দৌলার জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়ায়।

পলাশীর আম্রকাননে সকাল সাড়ে ১০টায় ইংরেজ ও নবাবের বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেদিনের সেই যুদ্ধে কুচক্রী ষড়যন্ত্রকারীদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে ক্লাইভের ৮০০ সৈন্যসহ সর্বমোট ৩ হাজার সৈন্যের কাছে ২৮ হাজার অশ্বারোহী ও ৫০ হাজার পদাতিক সৈন্য নিয়েও নবাব বাহিনীর অপ্রত্যাশিত পরাজয় ঘটে।

জয় হয় বিশ্বাসঘাতকদের। সেই সঙ্গে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য পৌনে ২০০ বছরের জন্য হারিয়ে যায় ঔপনিবেশিকতার আঁধারে।
পরবর্তীকালে নবাব সৈন্যদের সংগঠিত করে যুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মীর জাফরের ছেলে মীরনের নির্দেশে মোহাম্মদ আলী বেগের ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে নিহত হন সিরাজউদ্দৌলা।

এরপর মসনদে বসেন মীর জাফর। পলাশীর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড দাবি করা হয়। একের পর এক নবাব বদল হতে থাকে। ১৭৬৪ সালে বক্সারের চূড়ান্ত যুদ্ধে ব্রিটিশরা বাংলার ক্ষমতা দখল করে নেয়। ক্রমান্বয়ে গোটা ভারতবর্ষ ব্রিটিশ আধিপত্যবাদের কবলে নিপতিত হয়। ভারতবাসীকে দীর্ঘ পৌনে ২০০ বছর গোলামির শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে হয়।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত