আপডেট :

        পাটের দামে হতাশা: কৃষকদের চাষে অনীহা বাড়ছে

        টাকার জন্য থমকে আছে মধুবালার বায়োপিক

        ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে ইরান

        ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন? জানুন উপকারিতা

        ভোটার হচ্ছেন জুবাইদা

        ট্রাম্পের কড়া বার্তা: ইরানের বর্তমান শাসন ব্যবস্থার প্রতি প্রশ্ন

        টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত!

        শান্তির সুরে বিশ্বকে এক করেছেন যারা

        বড় ধরনের হামলায় ইরানের সব পারমাণবিক কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

        মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

        আজ পলাশী দিবস: সিরাজউদ্দৌলার বীরত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প

        অ্যাথলেটদের জন্য মেটার স্মার্ট চশমা

        শাকিব খানের হলিউড ডেবিউ: বাংলার রাজা এবার বিশ্ব দরবারে

        অবসরের পর আবেগঘন বার্তা দিলেন ম্যাথিউস

        ইরান এখনই শান্তি স্থাপন না করলে আরও বড় হামলা হবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প

        ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে আজ

        ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে ইরান

        পালোস ভার্দেস উপকূলে পাওয়া ৩টি মানব দেহাবশেষের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ

        র‍্যাঞ্চো কুকামাঙ্গায় ৪ বছরের শিশু নিজের গুলিতে আহত

        ইরানে মার্কিন হামলার পর সতর্ক ক্যালিফোর্নিয়া, জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান

আজ পলাশী দিবস: সিরাজউদ্দৌলার বীরত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প

আজ পলাশী দিবস: সিরাজউদ্দৌলার বীরত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প

আজ ২৩ জুন। ঐতিহাসিক পলাশী দিবস। ১৭৫৭ সালের এই দিনে ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাহিনীর মুখোমুখি হয় ইংরেজ বাহিনী। যুদ্ধের নামে এক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পরাজিত হন নবাব, প্রায় দুই শ বছরের জন্য অস্তমিত হয় বাংলার স্বাধীনতার সূর্য।

এই জন্য দিনটিকে ২৩ জুন পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস বলা হয়। সেই যুদ্ধে ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রে তাদের আধিপত্যবাদের জয় হয়েছিল আর পতন হয়েছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে ২৩ মাইল দক্ষিণে ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল দেশ মাতৃকা রক্ষার সেই যুদ্ধ।

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে সিংহাসন থেকে উচ্ছেদ করার জন্য দুজন খ্যাতিমান ব্রিটিশ সেনাপতি ক্যাপ্টেন ক্লাইভ ও অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের নেতৃত্বে একদল সৈন্যকে জাহাজযোগে মাদ্রাজ থেকে বাংলায় পাঠানো হয়।

তাদের উদ্দেশ্য ছিল নবাবকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করে বাংলার মসনদ দখল করা।
এই জন্য ব্রিটিশরা এক বিশাল ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। তাদের সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ ভারতীয় ধনকুবের জগৎশেঠ, রাজ কর্মচারী রায় দুর্লভ, রাজ বল্লভ এবং রাজপরিবারের আখির চাঁদ, উমি চাঁদ, ঘষেটি বেগম প্রমুখের সঙ্গে আলোচনা করেন।

তাদের মাধ্যমে ব্রিটিশরা জয়ী হলে নবাবের প্রধান সেনাপতি মীর জাফরকে বাংলার মসনদে বসানো হবে বলে  আশ্বাস দেয় ধূর্ত ক্লাইভ।

কিন্তু নবাব ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক মীর জাফরকে সন্দেহ করে প্রধান সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ করে আব্দুল হাদীকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন।
কূটচালে পারদর্শী মীর জাফর তখন পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করে নবাবের মন গলিয়ে পুনরায় প্রধান সেনাপতি পদে বসেন। সে সময় নেওয়া ওই ভুল সিদ্ধান্তই নবাব সিরাজদ্দৌলার জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়ায়।

পলাশীর আম্রকাননে সকাল সাড়ে ১০টায় ইংরেজ ও নবাবের বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেদিনের সেই যুদ্ধে কুচক্রী ষড়যন্ত্রকারীদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে ক্লাইভের ৮০০ সৈন্যসহ সর্বমোট ৩ হাজার সৈন্যের কাছে ২৮ হাজার অশ্বারোহী ও ৫০ হাজার পদাতিক সৈন্য নিয়েও নবাব বাহিনীর অপ্রত্যাশিত পরাজয় ঘটে।

জয় হয় বিশ্বাসঘাতকদের। সেই সঙ্গে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য পৌনে ২০০ বছরের জন্য হারিয়ে যায় ঔপনিবেশিকতার আঁধারে।
পরবর্তীকালে নবাব সৈন্যদের সংগঠিত করে যুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মীর জাফরের ছেলে মীরনের নির্দেশে মোহাম্মদ আলী বেগের ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে নিহত হন সিরাজউদ্দৌলা।

এরপর মসনদে বসেন মীর জাফর। পলাশীর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড দাবি করা হয়। একের পর এক নবাব বদল হতে থাকে। ১৭৬৪ সালে বক্সারের চূড়ান্ত যুদ্ধে ব্রিটিশরা বাংলার ক্ষমতা দখল করে নেয়। ক্রমান্বয়ে গোটা ভারতবর্ষ ব্রিটিশ আধিপত্যবাদের কবলে নিপতিত হয়। ভারতবাসীকে দীর্ঘ পৌনে ২০০ বছর গোলামির শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে হয়।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত