দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
যশোরে দুই নেতার পদত্যাগ, নুরের বিরুদ্ধে আ'লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ
গণঅধিকার পরিষদ যশোর সদর উপজেলার দুই নেতা পদত্যাগ করেছেন। শনিবার রাতে সংগঠনটির জেলার সভাপতি-সম্পাদক বরাবর পৃথক দু’টি লিখিত পত্রে তারা নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- দলটির সদর উপজেলা কমিটির সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু বক্কার ছিদ্দিক এবং অর্থ সম্পাদক রাফাত রহমান দ্বীপ। জেলায় দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতির সমাবেশের পরের দিন দুই নেতার পদত্যাগের খবরে নেতাকর্মী হতবাক হয়েছেন।
পদত্যাগকারী নেতারা বলছেন, দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। সর্বশেষ শুক্রবার যশোরে গণসমাবেশে তার বক্তব্য সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর্দশের সঙ্গে সমঝোতা করে রাজনীতি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই তারা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগপত্রে দুই নেতাই গণঅধিকার পরিষদ স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভাজনের রাজনীতির দিকে ধাবমান হচ্ছে বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন। পদত্যাগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হলেও গতানুগতিক ধারার বাইরে রাজনীতি করতে তারা গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি শুরু করেন। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদ বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি না করে বিভাজনের রাজনীতির দিকে ধাবমান হচ্ছে। এ অবস্থায় নিজের আর্দশের সঙ্গে সমঝোতা করে রাজনীতি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় টাউন হল মাঠে ১৮’র কোটা সংস্কার থেকে ২৪’র রাষ্ট্র সংস্কারের স্মৃতিচারণ এবং গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণসমাবেশের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ যশোর জেলা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নুরুল হক নূর। সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাফ করে দেওয়া নিয়ে বক্তব্য দেন। অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনাও করছেন। এর প্রতিবাদে অনেক নেতাকর্মী ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে। ক্ষুদ্ধ হয়েই তারা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করা রাফাত রহমান দ্বীপ বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ এখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের করার প্রক্রিয়া করছে। আর্দশের নৈতিকতার জায়গা থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। গতকাল সমাবেশেও সেটি ফুটে উঠেছে দলীয় প্রধানের বক্তব্য মাধ্যমে। আমার পদত্যাগপত্র জেলার সভাপতির হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়েছে। সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদককেও পাঠানো হয়েছে।’
সংগঠনটির সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শাকিল মল্লিক টিপু বলেন, ‘আমাকে মৌখিক জানানো হয়েছিল, তারা পদত্যাগ করবে। কিন্তু লিখিত কোনো পত্র পাইনি। এমনকি কি কারণে তারা পদত্যাগ করবেন সেটাও জানি না।’
দলটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল বলেন, ‘শুনেছি, তারা পদত্যাগ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, তারা আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপির নেতারা তাদের বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদ করার দরকার নেই। তাদের কথা শুনে এখন দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এমনকি তাদের পদত্যাগপত্রে স্বীকার করেছে আগে জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের মানুষ ছিলেন। দল সম্পর্কে তারা যে অভিযোগ তুলছে, তাদের অভিযোগ মিথ্যা।’
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন