গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলাকারীরা জেএমবি: আইজিপি
রাজধানীর গুলশানের স্প্যানিস রেস্টুরেন্ট ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে হামলার সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জড়িত বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। তদন্তের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেরকে সবাই মিলে নির্মূল করতে হবে। তারা দেশ ও জনগণের শত্রু।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন সন্ত্রাসীদের বোমা হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেন পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, আলামতে দেখা গেছে গুলশানে যারা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সদস্যরাই শোলাকিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত। তারা আইএসের সদস্য নয়। পুলিশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তারা আটক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। আজকের (শনিবার) মধ্যে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলার রক্তের দাগ মুছতে না মুছতেই ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে কিশোরগঞ্জ শহর। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের মাঠের কাছে শোলাকিয়ায় এ হামলা চালায় জঙ্গিরা। শোলাকিয়া মাঠের ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসঊদ হামলাকারীদের টার্গেট ছিলেন বলে ধারণা করছেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহের দেড়শ গজ পশ্চিমে পুলিশের চেকপোষ্টে জঙ্গিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলিতে দুই পুলিশ সদস্য, হামলাকারী জঙ্গি ও এক নারী নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। আহতদের মধ্যে পুলিশই ১০ জন ছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত এসআই নয়ন মিয়া এবং কনস্টেবল জুয়েল, রফিকুল, প্রশান্ত কুমার, তুষার, মশিউর ও আসাদুল ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শেয়ার করুন