চাঁদাবাজি ও দখলবাজির নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে: ড. কামাল হোসেন
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মব সংস্কৃতির নতুন প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই অশুভ শক্তিকে দমন করতে সরকার ব্যর্থ হলে দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে, যা কারও কাম্য নয়।”
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
ড. কামাল বলেন, দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসন আইনের শাসন, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে ধ্বংস করেছে। অবাধ লুটপাট, অর্থপাচার ও দুর্নীতির কারণে দেশ ভয়াবহ সংকটে পড়েছিল। এরই ফলশ্রুতিতে ছাত্র–জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনে আওয়ামী সরকারকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।
তিনি মনে করেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য ও সুবিচারের অঙ্গীকার থাকলেও মানুষ এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তবে ২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থান গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দেন। সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম অভিযোগ করে বলেন, একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে যাতে নির্বাচন না হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হলো সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচন দেওয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ইতিহাস উপেক্ষা করলে বর্তমান সংকট বোঝা যাবে না। তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থেকেও রাজনৈতিক সহিংসতা ঠেকাচ্ছে না। বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান বলেন, “আগে ছিল নিয়ন্ত্রিত স্বৈরশাসন, এখন চলছে অনিয়ন্ত্রিত স্বেচ্ছাচার। আগে এক গোষ্ঠীর লুটপাট ছিল, এখন বহু গোষ্ঠীর।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। বক্তব্য দেন জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়াও।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন