দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
টেকসই উন্নয়নে তৃণমূলের অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক: বিশেষজ্ঞরা
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে তৃণমূলের সম্পৃক্ততাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এসডিজি নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস) যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে।
‘দ্য পাওয়ার অব লোকাল: হাউ গ্রাসরুটস কমিউনিটিজ ড্রাইভ এসডিজি অ্যাচিভমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মারুফুল ইসলাম। এ ছাড়া ইউএনওপিএস বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধরন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের প্রধান ড. মাইকেল ক্রেজা, ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহুপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. তৌফিক-উর-রহমান বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস। সঞ্চালনা করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মারুফুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভিশন আছে। কিন্তু সেটিকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে স্থানীয় অংশীদারদের ক্ষমতায়ন, তাদের স্বায়ত্তশাসন রক্ষা এবং উন্নত তথ্য ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা জরুরি।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন বলেন, বাংলাদেশ অসাধারণ উন্নতি করেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয়, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, অবকাঠামো উন্নয়নের মতো চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। তাদের সফলতাই বাংলাদেশের সফলতা।
ইউএনওপিএসের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধরন বলেন, বিআইআইএসএসের সঙ্গে একত্রে আমরা স্থানীয় কণ্ঠ ও উদ্যোগকে শক্তিশালী করছি। প্রকৃত পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন তা হবে অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা ও সম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন কর্মের মাধ্যমে।
ইইউর মাইকেল ক্রেজা বলেন, এসডিজি শুধু ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নীতির মাধ্যমে সফল হতে পারে না। স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় সহযোগিতা করেছে।
তৃণমূল দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির বলেন, যখন স্থানীয় সম্প্রদায় নিজেরাই উন্নয়ন পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করে, তখন ফলাফল হয় আরও টেকসই ও ন্যায্য। এ গোলটেবিল বৈঠক সেই শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি পদক্ষেপ।
বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস বলেন, বাস্তব উন্নয়ন আমাদের স্থানীয় সম্প্রদায়ের হাতে। তাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা ও সমাধান আমাদের নীতিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে অপরিহার্য।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন