দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
৮ মাস আটকে থাকা তদন্তে কমিটি পরিবর্তন, ঝুঁকিতে ফলাফল
রাজধানীর তিনটি বেসরকারি ম্যাটসে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ১৯৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আট মাসেও জমা হয়নি। যদিও ২০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন এসব শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের কয়েক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
২০২০-২১ এবং ২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ট্রমা ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, ট্রমা ম্যাটস এবং শ্যামলী ম্যাটসে ১৯৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তারা কেউই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি। অথচ সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলে (ম্যাটস) ভর্তির জন্য ১০০ নম্বরের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।
তদন্তে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
তদন্তে উঠে এসেছে, অর্থের বিনিময়ে এই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সাবেক সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রী তানজিনা খানই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি। তবে বর্তমানে নিয়মিত ক্লাস করছেন।
গত ২ ডিসেম্বর ‘দেননি ভর্তি পরীক্ষা, হয়ে যাচ্ছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে সমকাল। এর পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ। কমিটির প্রধান ছিলেন উপসচিব আফিস আহসান, সদস্য সচিব ছিলেন ডা. সাইফুল ইসলাম। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক পরিচালকও ছিলেন সদস্য।
২০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ আট মাসেও তা জমা হয়নি। এর মধ্যেই কমিটির দুই সদস্যকে সরিয়ে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটির প্রধান হিসেবে এসেছেন উপসচিব মাহবুবা বিলকিস এবং সদস্য সচিব হিসেবে রাহেল রহমত উল্লাহ।
সাবেক সদস্য সচিব ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য গত ১০ বছরের ভর্তি তথ্য চাওয়া হলেও মাত্র তিন বছরের তথ্য দেওয়া হয়। সেগুলো যাচাই করেই আমরা ১৯৩ জনের জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি। তদন্ত শেষ পর্যায়ে ছিল। অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যেই আমাকে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।’
অভিযুক্ত ইমরুল কায়েস বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তাঁর স্ত্রী তানজিনা খানও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। নতুন কমিটির প্রধান মাহবুবা বিলকিসও প্রতিবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন