আটককেন্দ্রে মেক্সিকান অভিবাসীর মৃত্যু, চলতি বছরে আইসিই হেফাজতে ১৪তম প্রাণহানি
‘জুঁইফুল: সাবিনা ইয়াসমিন’ এবার ঘরে বসে দেখা যাবে
প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর কণ্ঠের মাধুর্য, শিল্পীজীবনের উত্থানপতন ও অদম্য নিষ্ঠাকে তুলে ধরতে নির্মিত হয়েছে ডকুফিল্ম ‘জুঁইফুল: সাবিনা ইয়াসমিন’। সম্প্রতি চ্যানেল আইতে প্রচারিত এই ডকুফিল্মটি এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে উন্মুক্ত করা হয়েছে। চ্যানেল আইয়ের প্রেস উইং এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ডকুফিল্মটির পরিকল্পনা, নির্মাণ ও সঞ্চালনা করেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। চলচ্চিত্রে থাকা আর্কাইভাল ফুটেজ, রেকর্ডিং সেশন, মঞ্চজীবন ও পারিবারিক স্মৃতিচারণার মাধ্যমে সাবিনার সংগীতজীবনের বহুমাত্রিক চিত্র ফুটে উঠেছে এতে। ষাটের দশক থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্ম পর্যন্ত তাঁর সংগ্রাম, সাফল্য ও স্মৃতিময় বিষয় উঠে এসেছে ডকুফিল্মে।
সাবিনা ইয়াসমিনের বিপুল সংগ্রহ থেকে শ্রেষ্ঠ কাজ বেছে নিয়ে মাত্র বারোটি গান নির্বাচিত করা হয়েছে। সেই গানগুলো নতুন প্রজন্মের কণ্ঠে পরিবেশন করেছেন কোনাল, লিজা, ইমরান, ঝিলিক, রাকিবা, ঐশী ও আতিয়া আনিসা।
শাইখ সিরাজ বলেছেন, ‘সাবিনা ইয়াসমিনের ক্যারিয়ারে তোলপাড় করা প্রায় পনেরো হাজার হাজার গান থেকে মাত্র বারোটি চয়ন করা সহজ ছিল না; তবুও ওই গানগুলোই দর্শককে তাঁর শিল্পীর গভীরতা দেখাবে।’
ডকুফিল্মটিতে এমন কিছু তথ্য ও মুহূর্ত দেখানো হয়েছে যা আগে কখনও প্রকাশ পায়নি। ব্যক্তিগত চিঠি, স্টুডিও নোটস ও অনুশীলনের দৃশ্যসহ নানা কিছু রয়েছে ডকুফিল্মটিতে।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সিরাজ ভাই [শাইখ সিরাজ] এটি যে ভাবে সাজিয়েছেন, আমি বিস্মিত। দর্শকরা আমাকে একেবারে নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন। আমার সংগীতপ্রচেষ্টায় সহকর্মীদের অবদান ও শ্রোতাদের ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। চলচ্চিত্রটি বাংলা সংগীতশিল্পের ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখার একটি মহৎ প্রয়াস। যারা বাংলা গানের গভীরতা জানতে চান, তাদের জন্য এটি এক অপরিহার্য দর্শনীয় উপস্থাপনা। টেলিভিশনে ডকুফিল্মটি প্রচারের পর অনেক দর্শক এটি দেখেছেন। ওটিটির কারণে এটি আরও অনেক দর্শকের কাছে পৌঁছাবে।’
শাইখ সিরাজ বলেন, ‘এই ডকুফিল্ম নির্মাণের আগে সবচেয়ে বেশি সময় দিতে হয়েছে গবেষণায়। আর শুটিং সম্পন্ন হওয়ার পর সময় ব্যয় হয়েছে সম্পাদনায়। প্রথম গান গেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন, প্রথম শোতে আয়োজকরা কী দিয়েছেন, কীভাবে মাত্র ১২ বছর বয়সে আলতাফ মাহমুদের হাত ধরে সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ পেলেন, কিংবা দিলশাদ ইয়াসমিন থেকে পরবর্তী জীবনে সাবিনা ইয়াসমিন হয়ে উঠলেন, আমাদের সংস্কৃতির ইতিহাস হয়ে উঠলেন তা দেখানো হবে। তাঁর সংগ্রাম, সাফল্য, শিল্পীসত্তা সবকিছুই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি এই ডকুফিল্মে।’
শেয়ার করুন