দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
প্রতিযোগিতায় ঝলমল, লক্ষ্মীপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন
লক্ষ্মীপুর শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত প্রাণবন্ত বিতর্ক উৎসবে অংশ নেয় আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুদে বিতার্কিকরা। তরুণদের যুক্তি-পাল্টা যুক্তি আর বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাধারার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় ১৭ সেপ্টেম্বর মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আর রানার্সআপ হয় প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় চ্যাম্পিয়ন দলের দলনেতা তাজরিন তাবাসুম মৌনতা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে তাদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিজ্ঞানের সুফল ভোগ করতে হলে প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক মানুষই চিন্তা করে, তবে যে মানুষ বেশি যুক্তি দিয়ে চিন্তা করে, সে মানুষ আরও বেশি উন্নতি করতে পারে। একজন বিতার্কিক মূলত যুক্তিবাদী হিসেবে পরিচিত। যেখানে জোরের যুক্তি নয়, বরং যুক্তির জোরই বিজয়ী হয়। এই বিতর্কচর্চার মাধ্যমেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক মানসিকতার বিকাশ ঘটে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম পাবেল, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক এসএভিপি ও শাখা ম্যানেজার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, লক্ষ্মীপুর জেলা সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি গাজী গিয়াস উদ্দিন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা এবং সহকারী শিক্ষক শারমীন আক্তার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিশু সংগঠক আজিজুল হাকিম জয়, সাংবাদিক হাসিবুর রহমান, সমকাল জেলা প্রতিনিধি ও প্রতিযোগিতার প্রধান সমন্বয়ক আতোয়ার রহমান মনির, সমকাল সুহৃদ সমাবেশের জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি কার্তিক সেন গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুর রশীদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভির আজম, সদস্য মন্টি সাহা, ঋণাদেবনাথ, ফাতেমা নুসরাত নাফসা, তানজীল হোসেন রিশাদ, কাজী রাইয়ান সায়েম ও আবু নূর আরিফ।
বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন লক্ষ্মীপুর ডিবেট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ডিবেট আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মাজেদ আজাদ, এলডিএর মডারেটর শাখাওয়াত হোসাইন, নিলয় রঞ্জন নাথ, ফয়সাল ইসলাম তাহসান এবং তাওহীদুর রহমান প্রভাত।
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আটটি বিদ্যালয় লটারির মাধ্যমে চার গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন রাউন্ডে বিতর্কে অংশ নেয়। যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বারবার উচ্চারণ করে– প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার ছাড়া সমাজের কল্যাণ সম্ভব নয় আর বিজ্ঞান ছাড়া উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কল্পনাও করা যায় না।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন