দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
'আন্দোলন ছাড়া জামায়াতের সাথে সম্পর্ক নেই'
আন্দোলন এবং নির্বাচনের জোট ছাড়া জামায়াতের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার রাতে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের বিজয়ের মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন খালেদা।
খালেদা জিয়া বলেন, "১৯৮৬ জামায়াতকে সাথে নিয়ে এরশাদের নির্বাচনে তারাই গেছে। ১৯৯৫ সালেও জামায়াতকে সাথে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করে তারা। সুতরাং আমরা বলতে চাই জামায়াতের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তাদেরই।"
তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ সব সময় বলে আমরা নাকি রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছি। পতাকা তারাই প্রথম রাজাকারদের গাড়িতে তুলে দিয়েছে। মওলানা নুরুল আমিন, একে ফয়জুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গাড়িতে তারাই প্রথম পতাকা তুলে দেয়।"
নিশা দেশাই সম্পর্কে সৈয়দ আশরাফের করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে খালেদা বলেন, "বিএনপিকে গালি দিতে দিতে আওয়ামী লীগ এখন সবাইকে গালি দেয়। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কয়েকদিন আগে বিশ্ব ব্যাংককেও গালি দিয়েছিল।"
তিনি বলেন, "বিজয়ের মাসে মাসব্যাপী বিজয় উদযাপনের পাশাপাশি সরকার বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিও দেব। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলেই আমরা আন্দোলনে নামব বলেও উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
ক্ষমতাসীন অবৈধ আওয়ামী সরকার একের পর এক দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও স্বার্বভৌমত্ববিরোধী চুক্তি করে যাচ্ছে উল্লেখ খালেদা জিয়া বলেন, "আমরা জানি না সরকার দেশবিরোধী আরো কতো চুক্তি করবে। যেখানে বিএনপির জন সমর্থন বেশি সেখানে আওয়ামী লীগ কোনো উন্নয়ন করছে না। তাই এর বিরুদ্ধে দেশবাসিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।"
তিনি আরো বলেন, "বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে আসছে বহুবার। কারণ আওয়ামী লীগের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে না।"
৫ জানুয়ারি দেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ লোক ভোট দিতে যায় নি। তাই নির্বাচন কমিশন ভোট প্রয়োগের হার প্রকাশ করতে দুই দিন সময় নিয়েছে। পরবর্তীতে এইচ টি ইমামের পরামর্শে তারা (ইসি) ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া।
তাই ক্ষমতার জোরে সংবিধানের দোহাই দিয়ে যত আইন-কানুন তৈরি করুক না কেন তার কোনো কিছুই বৈধ নয়। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এগুলো বাতিল করা হবে বলে উল্লেখ করেন চেয়ারপার্সন।
খালেদা জিয়া বলেন, "আওয়ামী লীগ সীমান্তে পারি দেয়া দল আর বিএনপি আসল মুক্তিযোদ্ধার দল। যারা কেবল মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাই দেননি বরং রণাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে।"
দেশে এখন আইনের শাসন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নেই। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন নিশ্চুপ থাকে। এছাড়া দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নেই বলেও মন্তব্য করেন বেগম খালেদা জিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
শেয়ার করুন