দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
কি দোষ করেছিলো যে ওকে এভাবে মারতে হবে
‘আমার মেয়ে পচেনি, আমার মেয়ে গলেনি। আমার নিষ্পাপ সোনার টুকরো কখনো মরতে পারে না। নিষ্পাপ মানুষের কখনো মৃত্যু হয় না। বেঁচে থাকে যুগ যুগ। আমার মেয়ে দেশের সম্পদ ছিলো। ও কি দোষ করেছিলো যে ওকে এভাবে মারতে হবে’।এ আহাজরি মেয়ে হারানো এক বাবার। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যশোর কারবালা কবরস্থান থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করার সময় ডা. শামারুখের বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বুক চাপড়াতে চাপড়াতে এ আহাজারি করেন। এসময় তার আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। সেখানে থাকা অনেকে তার আহাজারি দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, মৃতদেহের পঁচা দুর্গন্ধে যখন সবার মুখে রুমাল, কাপড় আর মাকস তখন নুরুল ইসলামের নাকে কিছু ছিলনা। তিনি দুর্গন্ধের মধ্যেও স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন।
প্রকোশলী নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আমার মেয়ে এখনো তাজা। আমি কোনো পচা গন্ধ পাচ্ছিনা।কেন আমি নাকে রুমাল দেব।১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসা থেকে হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডা. মেহজাবিন শামারুখের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বাসায় মেহজাবিন তার শ্বশুর টিপু সুলতান, শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা ও স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাব বসবাস করতেন।
শেয়ার করুন