আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের বসার জায়গায় স্বল্পতা ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরের স্থান সংকুলান না হওয়ায় যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল) গঠন করে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৬ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং অপরাধ তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়।
এরপর আবদুল গনি রোডে অবস্থিত পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বছরের ২৬ জুলাই চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। অপর দুই সদস্য ছিলেন- বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও বিচারক এ কে এম জহির আহমেদ।
ওইদিন জামায়াতে ইসলামীর চার নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানি শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ইতিমধ্যে এই চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও প্রসিকিউশনের কার্যালয় রয়েছে।
শেয়ার করুন